বেঙ্গালুরু: কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই জমে উঠেছে কর্নাটকের ভোটের ময়দান। এই আবহে নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুলতে তারকা প্রচারকদের তালিকা প্রকাশ করল কংগ্রেস। আর এই তালিকায় দুটি নাম ঘিরেই রয়েছে চমক। এক, কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার। বিজেপির থেকে টিকিট না পেয়ে সম্প্রতি তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন। এই নির্বাচনে তিনি কংগ্রেসের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করছে। রাজ্য়ে বিজেপির জয়রথ ঠেকাতে জগদীশকে তারকা প্রচারক হিসেবে রেখেছে কংগ্রেস। আর তারকা প্রচারকের তালিকায় নাম নেই রাজস্থানের কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলটের। সম্প্রতি সে রাজ্য়ের গেহলট প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অনশনে বসেন। এর ফলে কংগ্রেসকে তিনি কিছুটা অস্বস্তিতে ফেলেছেন বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।
বুধবার কর্নাটক নির্বাচনের তারকা প্রচারকদের তালিকা প্রকাশ করল কংগ্রেস। এই তালিকায় সচিন পাইলটের নাম না থাকলেও রয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। মোট ৪০ জন তারকা প্রচারকের নাম উল্লেখ করেছে কংগ্রেস। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও রয়েছেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল ও হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। অন্য়ান্য সব নির্বাচনের মতো এই তালিকায় রয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধী, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, পি চিদম্বরম, জয়রাম রমেশ, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢড়া ও শশী থারুর। রাজ্যের মধ্যে থেকে থাকছেন, সিদ্দারামাইয়া, ডি কে শিবকুমার, বীরাপ্পা মোইলি, এমবি পাতিল ও সতীশ জারকিহোলি, কানহাইয়া কুমার সহ আরও একাধিক কংগ্রেস নেতা। এই সব কিছুর মধ্যে নজর কেড়েছে প্রাক্তন বিজেপি নেতা জগদীশ শেট্টারের নাম।
প্রসঙ্গত, জন সঙ্ঘ ও বিজেপির দীর্ঘ দিনের সদস্য ছিলেন শেট্টার। তিনি এক সময় বিজেপির হয়ে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীও থেকেছেন। তবে এই নির্বাচনে শেট্টারকে প্রার্থী করেনি। তারপরই বিজেপির সঙ্গে তাঁর বিরোধ বাঁধে। দলত্যাগ করে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন সম্প্রতি। কংগ্রেসে যোগ দিয়েই তিনি এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার টিকিট পান। এই শেট্টারকে বিজেপির বিরুদ্ধে ঘুটি হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে কংগ্রেস। তাই এত তাড়াতাড়ি টিকিট থেকে শুরু করে তারকা প্রচারক হিসেবেও প্রকাশ্যে এনেছে তাঁকে।
এদিকে অন্যান্য বারের মতো তারকা প্রচারক হিসেবে নিজের জায়গা ধরে রাখতে পারলেন না রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলট। ২০১৮ সালের কর্নাটক নির্বাচনেও তারকা প্রচারক হিসেবে ছিলেন তিনি। তবে এইবার আর তাঁকে প্রচারের মুখ হিসেবে রাখল না কংগ্রেস। কিছুদিন আগেই রাজস্থানে বিজেপির জমানার দুর্নীতির তদন্তের দাবি নিয়ে সে রাজ্যের গেহলট প্রশাসনের বিরুদ্ধেই অনশনে বসেছিলেন পাইলট। দুর্নীতির তদন্ত না হওয়ায় গেহলট প্রশাসনের দিকেই আঙুল তুলেছিলেন তিনি। এবার সেই পদক্ষেপেরই এই মাশুল গুনতে হল পাইলটকে? এমনটাই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। প্রসঙ্গত, আগামী ১০ মে বিধানসভা নির্বাচন কর্নাটকে। ফলাফল ঘোষণা হবে ১৩ মে।