DK Shivkumar: ‘আমার নেতৃত্বে কর্নাটকে ১৩৫ টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস’, দিল্লি যাওয়ার আগে স্পষ্ট বার্তা শিবকুমারের

DK Shivkumar: বেলা গড়াতেই ইউ-টার্ন কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমারের। প্রথমে দিল্লি যাবে না বললেও পরে জানান হাইকম্যান্ডের ডাকে দিল্লি যাচ্ছেন তিনি।

DK Shivkumar: 'আমার নেতৃত্বে কর্নাটকে ১৩৫ টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস', দিল্লি যাওয়ার আগে স্পষ্ট বার্তা শিবকুমারের
Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 15, 2023 | 6:25 PM

নয়া দিল্লি: কর্নাটকে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠনের পথে কংগ্রেস। দক্ষিণী এই রাজ্যে বিজেপিকে হারানোর লড়াইয়ে জয়ী হয়েছে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। এখন দলের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হল কর্নাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়া। সিদ্দারামাইয়া নাকি ডিকে শিবকুমার, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাকে পছন্দ করবে কংগ্রেস? সেই সিদ্ধান্ত নিতেই গতকাল বেঙ্গালুরুর একটি পাঁচতারা হোটেলে বৈঠকে বসেন কর্নাটকে কংগ্রেসের পরিষদীয় নেতারা। সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কোনও চূড়ান্ত নাম মেলেনি। তবে এই গুরু দায়িত্ব সপে দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের কাঁধে। আজ দিল্লিতে খাড়্গের নেতৃত্বে বৈঠক হওয়ার কথা কংগ্রেসের। এই দীর্ঘ বৈঠক থেকেই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর নাম উঠে আসতে পারে। প্রথমে এই বৈঠকে যোগ দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন ডিকে। তবে বেলা গড়াতেই ইউ-টার্ন। শেষে তিনি হাই কম্যান্ডের ডাকে দিল্লি যাচ্ছেন বলে জানিয়ে দিলেন। এর সঙ্গে অহমের সঙ্গে বললেন, তাঁর নেতৃত্বে রাজ্যে ১৩৫ টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস।

তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “আজ আমার জন্মদিন। আমি নিজের পরিবারের সঙ্গে দেখা করব। তারপরই দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেব।” তারপর তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “আমার নেতৃত্বে এই রাজ্যে ১৩৫ জন বিধায়ক পেয়েছে কংগ্রেস। সবাই এক কথায় রাজি হয়েছেন এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দলের হাই কম্যান্ডের উপর ছেড়ে দেওয়া হোক। আমার লক্ষ্য ছিল কর্নাটকে জিত। সেটা আমি করে দেখিয়েছি।” তিনি আরও বলেন, “কংগ্রেস হাইকমান্ড আমাকে এবং সিদ্দারামাইয়াকে দিল্লিতে ডেকেছে। সোনিয়া গান্ধী, খাড়্গে আমাকে সভাপতির পদ দিয়েছিলেন। ১৩৫ টি আসন আমার সভাপতিত্বে এসেছে। যখন সমস্ত বিধায়ক আমাদের দল ছেড়ে চলে গেলেন এবং আমরা আমাদের সরকার হারালাম, আমি আশা হারাইনি। গত পাঁচ বছরে কী ঘটেছে তা আমি প্রকাশ করতে চাই না। ” তিনি দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে আরও বলেছেন, “আমি একজন একক মানুষ, আমি একটি বিষয় বিশ্বাস করি যে সাহসের সঙ্গে একজন একক ব্যক্তি সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে ওঠে… যখন আমাদের সমস্ত বিধায়ক দল (২০১৯ জেডি (এস)-কংগ্রেস জোট সরকার) ত্যাগ করেছিলেন, তখন আমার মন ভাঙেনি।”

এদিকে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া। আজই কংগ্রেসের বৈঠক থেকে কর্নাটকের মুখ্য়মন্ত্রীর নাম জানা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে এই কুর্সির লড়াইয়ে প্রথমেই রয়েছেন কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা ভোক্কালিগা নেতা ডিকে শিবকুমার। তাঁর ম্যাজিকে ভরসা করেই কর্নাটকে কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের মতামত। আর একদিকে রয়েছেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। ইতিমধ্য়ে দুই নিজ নিজ পছন্দের নেতাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে দেখতে চেয়ে দুই শিবিরে ভাগ হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। ডিকে-র সমর্থনকারীরা দাবি করেছেন, শিবকুমারকেই মুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁরা দেখতে চান। একই দাবি সিদ্দারামাইয়ার সমর্থনকারীদের। এই দ্বন্দ্বের আজই অবসান হতে পারে রাজধানীতে। খাড়্গের নেতৃত্বে বৈঠকে বসছে কংগ্রেসের নেতারা। সেখানে উপস্থিত থাকবেন সিদ্দারামাইয়াও। সকালে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে দিল্লি যাবেন না বলে জানিয়েছিলেন ডিকে। তবে পরে অবস্থান বদলে দিল্লির উদ্দেশে যাত্রা তাঁর। এদিকে কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাকে দেখতে চান তা জানার জন্য গতকালই কংগ্রেসের অন্দরে ভোটভুটি হয়েছে। কংগ্রেসের তরফে কর্নাটকে তিনজন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকও নিয়োগ করা হয়েছে। এই ভোটাভুটির একটি রিপোর্ট খাড়্গের হাতে তুলে দেবেন পর্যবেক্ষকরা। সব দিক বিবেচনা করে এই মুখ্যমন্ত্রীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন খাড়্গে।