পানাজি: আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ১৪ তারিখ গোয়া বিধানসভা নির্বাচন (Goa Assembly Election)। সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বাড়িতে হওয়া একটি বৈঠক ঘিরে সৈকত রাজ্যে কংগ্রেস-তৃণমূলের জোট নিয়ে জল্পনা দেখা দিয়েছিল। বৈঠকে উপস্থিত রাহুল ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা কেসি বেনুগোপাল টুইট করে তৃণমূলের সঙ্গে জোট সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছিলেন। স্পষ্টতই তিনি জানিয়েছিলেন গোয়া নিয়ে রাহুলের সঙ্গে বৈঠকে তৃণমূলের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে কোনওরকম আলোচনা হয়নি। বৃহস্পতিবার জোট প্রসঙ্গে কংগ্রেসকে করা আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ তথা গোয়া বিধানসভা নির্বাচনের ইনচার্জ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। মহুয়া বলেন, কংগ্রেস নেতাদের মনে রাখা উচিৎ তাঁরা ‘ভারতের সম্রাট’ নন। পাশাপাশি কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে মহুয়ার দাবি গোয়াতে কংগ্রেস যদি বিজেপির বিরুদ্ধে নিজেদের ভূমিকা সঠিকভাবে পালন করত তবে তৃণমূলকে গোয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হত না।
তৃণমূলের গোয়া বিধানসভা নির্বাচনের ইনচার্জ মহুয়া জানিয়েছেন সময়ের চাহিদা অনুযায়ী গোয়াতে বিজেপিকে পরাস্ত করতে জুটে যেতে প্রস্তুত তৃণমূল তবে তার অর্থ এই নয় যে নিজের আত্মসম্মানের সঙ্গে দল আপোষ করবে। কংগ্রেসকে মহুয়ার পরামর্শ নিজেদেরকে সর্বেসর্বা না ভেবে আদতে নিজেদের শক্তি খতিয়ে দেখা উচিত।
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন গোয়াতে মূল লড়াই কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে। তৃণমূল এবং আম আদমি পার্টি এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজেপি বিরোধী ভোট কাটলে ঘুরিয়ে তারা বিজেপিকে সাহায্য করবে। সাক্ষাৎকারে চিদাম্বারাম দাবি করেন গোয়াতে তৃণমূল বা বা আম আদমি পার্টির কর্মী-সমর্থকের সংখ্যা খুবই নগণ্য। এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মহুয়া বলেন “গোয়াতে কংগ্রেস, তৃণমূল এবং আম আদমি পার্টি মূল বিজেপি বিরোধী দল। নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে সকলেরই লড়াই হবে। কেউ একা দাবি করতে পারে না যে তারাই সর্বশেষ্ঠ। আমার মনে হয় মানুষের এটা বোঝা উচিত কংগ্রেস তাদের কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে বলেই আমরা এখানে এসেছি। কংগ্রেস বিজেপিকে হারাতে সমর্থ নয়।”
কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেও বিজেপি বিরোধী জোটে তৃণমূল যে এখনও আগ্রহী সেই কথা বুঝিয়ে মহুয়ায় এদিন বলেন, “আমরা সকলকেই বলছি আলোচনার টেবিলে বসুন এবং সেখানে বিজেপিকে কিভাবে হারানো যায় সেই নিয়ে আলোচনা হোক।” উল্লেখ্য,২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর জাতীয় রাজনীতিকে পাখির চোখ করে গোয়াতে পা রেখেছিল তৃণমূল। কংগ্রেস ভাঙিয়ে সংগঠন বিস্তার করতে কিছুটা সফল হয়েছে তৃণমূল। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে গোয়ার সাধারণ মানুষ তৃণমূলের ওপর আস্থা রাখে কিনা তার উত্তর পাওয়া যাবে ১০ মার্চ।
আরও পড়ুন: UP MLA quits BJP: যোগী-রাজ্যে আরও এক বিজেপি বিধায়কের দলত্যাগ, এই নিয়ে সাতজন!