পানাজি: সামনেই গোয়া বিধানসভা নির্বাচন। জাতীয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতার লক্ষ্যে গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল। দেশের সবথেকে ছোট রাজ্য নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছিল। বিজেপি শাসিত গোয়ার প্রাক্তন কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফ্যালেইরোকে দলে টেনে চমক দিয়েছিল তৃণমূল। তাঁকে সর্বভারতীয় সহ সভাপতি নিয়োগ করার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভার সাংসদ করে পাঠিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি মাসেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোয়া সফর চলাকালীন আংশিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছিল তৃণমূল। সেই তালিকায় লুইজিনহো ফ্যালেইরোর নামও ছিল। শোনা গিয়েছিল, ফাতোর্দা আসনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন তিনি। ভোটের আগে জল্পনা বাড়িয়ে সেই আসন থেকেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানিয়েছেন দলের সভানেত্রী অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। “দলনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া কারণ আমি সমগ্র গোয়া জুড়ে তৃণমূল প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করতে চাই। আমি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে চাই যাতে তৃণমূল প্রার্থীরা ভাল ফল করতে চাই।” লুইজিনহো জানিয়েছেন, তাঁর জায়গায় একজন তরুণী ওই কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তিনি বলেন, “আমি গোয়া থেকে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করছি, আমার জায়গায় এক তরুণী এই কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। পার্টি নীতিগতভাবে মহিলা ক্ষমতাক্ষয়ণের পক্ষে।”
“আমার আগের অভিজ্ঞতা বলছে আমি যখন শেষবার নির্বাচনে লড়েছিলাম আমরা তখন মহিলাদের ক্ষেত্র ন্যায়বিচার করতে পারিনি। আমার স্থলাভিষিক্ত করার জন্য, আমাদের কাছে একজন অত্যন্ত দক্ষ প্রার্থী রয়েছেন, যিনি ফাতোর্দা নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধিত্ব করবেন।” বলেন লুইজিনহো। বেশে কিছুদিন ধরে তৃণমূলে যোগদান করা কিছু নেতা দল ছেড়েছেন। লুইজিনহোও তৃণমূল ছাড়তে পারেন সেই নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছিল। যাবতীয় জল্পনা খারিজ করেছেন তিনি। টুইটে তিনি জানিয়েছেন, “তৃণমূল থেকে আমার পদত্যাগ নিয়ে যে গুঞ্জন চলছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। গোয়ার জনগণ আমার দলকে যে সমর্থন ও আশীর্বাদ বর্ষণ করেছে তাতে বিচলিত ব্যক্তিরা এই মিথ্যা প্রচার করছেন। রাজ্যে তৃণমূলই একমাত্র দয় যে গোয়ার জন্য লড়াই করবে এবং নির্বাচনে জিতবে। আমি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তৃণমূলে যোগদান করেছিলাম তাই এই লড়াই থেকে আমি পিছপা হব না। যতক্ষণ বিজেপি পরাজিত না হয় ততক্ষণ আমি লড়াই চালিয়ে যাব।”