Gujarat Assembly Election: গুজরাটে পাঁচ, হিমাচলে শূন্য, তারপরও কি বিরোধী রাজনীতির পরিসরে এগিয়ে আপ?

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Dec 08, 2022 | 10:10 PM

AAP become national party: গুজরাটে ফল বের হওয়ার পরই জাতীয় জলে পরিণত হল আপ। কতটা এগোল বিরোধী রাজনীতির পরিসরে?

Gujarat Assembly Election: গুজরাটে পাঁচ, হিমাচলে শূন্য, তারপরও কি বিরোধী রাজনীতির পরিসরে এগিয়ে আপ?
আনন্দে মাতলেন আপ সমর্থকরা

Follow Us

আহমেদাবাদ: সকলের চোখ ছিল গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশের নির্বাচনের দিকে। হিমাচলে পালা বদল ঘটাতে সক্ষম হয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু গুজরাটে ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। বিজেপিকে বেগ দেওয়া তো দূরের কথা, মাত্র ১৭টি আসনেই আটকে গিয়েছে কংগ্রেস। আর কংগ্রেসের এই হতাশাজনক ফলাফলের পিছনে অন্যতম কারণ গুজরাটে আম আদমি পার্টির উত্থান। প্রথমে দিল্লি, তারপর পঞ্জাব, এবার গুজরাটেও কংগ্রেসকে প্রতিস্থাপন করার রাস্তায় এগোতে শুরু করল আপ। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

২০১৪ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় নরেন্দ্র মোদী আসার পর থেকে, কংগ্রেসকে দুর্বল করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। আর সেই চেষ্টায় যে তারা সফল, তা বলে দিচ্ছে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং গত কয়েক বছরে একের পর এক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল। ক্রমশ সঙ্কুচিত হচ্ছে কংগ্রেস। ফলে বিরোধী রাজনীতির পরিসরে একটি ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়েছে। যে জায়গা দখল করার জন্য ঝাঁপিয়েছে বেশ কয়েকটি দল। দৌড়ে রয়েছে আপ, তৃণমূল কংগ্রেস, এনসিপি, শিবসেনার মতো বেশ কয়েকটি দল। তবে আপাতত গুজরাটে ৫টি আসন জিতে, ২০২৪ সালের নির্বাচনের প্রেক্ষিতে এই বিরোধী রাজনীতির পরিসর দখলের দিকে অনেকটাই এগিয়ে গেল আম আদমি পার্টি। এদিন তারা জাতীয় দলের তকমা পাওয়ার শর্ত পূরণ করে ফেলল।

শুধু আসন সংখ্যা দিয়ে গুজরাটে আপের ফলাফল বিচার করা যাবে না। গুজরাটে কংগ্রেসের ভরাডুবিরও অন্যতম কারণ, আম আদমি পার্টি। ভোট প্রাপ্তির হার বিচার করলে বিষয়টি অনেকটা স্পষ্ট হবে। চলতি নির্বাচনে আপ ভোট পেয়েছে ১২.৯২ শতাংশ। এই ভোটের পুরোটাই এসেছে কংগ্রেসের ঘর থেকে। ২০১৭ সালের নির্বাচনে জয়ী বিজেপি ভোট পেয়েছিল ৪৯.০৫ শতাংশ। অন্যদিকে কংগ্রেসের ভোট ছিল ৪১.৪৪ শতাংশ। ৫ বছর পর বিজেপির ভোট প্রাপ্তি বেড়ে হয়েছে ৫২.৫ শতাংশ। কাজেই বিজেপির ভোটে আপ ভাগ বসিয়েছে, তা বলা যাবে না। কিন্তু, কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোট কমে হয়েছে ২৭.২৮ শতাংশ। বোঝাই যাচ্ছে, কংগ্রেসের ভোট কেটেই পুষ্ট হয়েছে অরবিন্দ কেজরীবালের দল।

জাতীয় দলের তকমা পাওয়ার জন্য কোনও দলকে অন্তত চারটি রাজ্যে ‘রাজ্য দলের’ তকমা পেতে হয়। রাজ্য দলের খেতাব পাওয়ার শর্ত হল অন্তত ২টি আসনে জয় এবং ৬ শতাংশ ভোট প্রাপ্তি। দিল্লি এবং পঞ্জাবে ইতিমধ্যেই ক্ষমতায় আছে তারা। কাজেই রাজ্য দলের তকমা সহজেই পেয়েছে। গোয়াতেও শেষ বিধানসভা নির্বাচনে তারা ২টি আসনে জিতেছে, ভোট পেয়েছিল ৬.৭৭ শতাংশ। বৃহস্পতিবার, হিমাচল প্রদেশে একটিও আসন জিততে না পারলেও, গুজরাটের ভোটের ফল, তাদের জাতীয় দল হওয়ার আকাঙ্খা পূরণ করল। গুজরাটে প্রথমবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই ৫টি আসন জেতার পাশাপাশি ১২ শতাংশের বেশি ভোট পেল আপ। ফলে চারটি রজ্যে তারা রাজ্য দলের তকমা পেল। সেই সঙ্গে পেল জাতীয় দলের মর্যাদাও। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ঘটনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

Next Article