আহমেদাবাদ: ২০১৭ সালের নির্বাচনে বিজেপিকে জোরালো লড়াই ছুড়ে দিয়েছিল কংগ্রেস। ১৮২ আসনের গুজরাটে সরকার গড়ার ম্যাজিক সংখ্যা ৯২। ৯৯ আসনে জিতে ক্ষমতা ধরে রেখেছিল বিজেপি। অন্যদিকে কংগ্রেস পেয়েছিল ৭৭টি আসন। বিশেষ করে আদিবাসী এলাকায় ও গ্রামাঞ্চলে খুব ভাল ফল করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু ৫ বছর পর, নির্বাচনের ফলাফলের ছবিটা কংগ্রেসের জন্য হতাশাজনক বললেও খুব কম হবে। বস্তুত, স্বাধীনতার পর থেকে গুজরাটে এত খারাপ ফল হয়নি শতাব্দী প্রাচীন দলটির।
১৯৮৫ সালে রেকর্ড ১৪৯টি আসনে জিতে সরকার গঠন করেছিল কংগ্রেস। যে রেকর্ড বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) ভেঙে দিয়েছে বিজেপি। ১৯৮৫-র সেই রেকর্ড জয়ের ৫ বছর পরই অবশ্য মুখ থুবরে পড়েছিল কংগ্রেস। মাত্র ৩৩টি আসনে জিততে পেরেছিল ‘হাত’। জনতা দল ৭০টি এবং বিজেপি ৬৭ আসনে জিতেছিল। সরকার গড়েছিল জনতা দল ও বিজেপির জোট। সেই যে হাতছাড়া হয়েছিল, আর গুজরাটে ক্ষমতায় ফিরতে পারেনি কংগ্রেস। এতদিন পর্যন্ত ১৯৯০ সালের সেই ফলাফলই ছিল রাজ্যে কংগ্রেসের সবথেকে খারাপ ফল।
তারপর থেকে ধীরে ধীরে আসন সংখ্যা বেড়েছিল কংগ্রেসের। ১৯৯৫ সালে ৪৫, ১৯৯৮-এ ৫৩, ২০০২-এ ৫১, ২০০৭-এ ৫৯, ২০১২ সালে ৬০ এবং ২০১৭ সলে ৭৭ টি আসনে জয় পেয়েছিল কংগ্রেস। সেখান থেকে এবার কংগ্রেস থেমে গেল ১৭-তে। শুধু আসন সংখ্যা কমাই নয়, ভোট প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও অনেক পিছিয়ে পড়েছে কংগ্রেস। ২০১৭ সালে কংগ্রেসের ভোট প্রাপ্তির হার ছিল ৪১.৪৪ শতাংশ। এবার তা নেমে এসেছে ২৭.২৯ শতাংশে।
২০১৭ সালে গুজরাটে প্রচারে ব্যাপক জোর দিয়েছিল কংগ্রেস। পরিবর্তে এবার অন্য কৌশল নিয়েছিল। এই রাজ্যে প্রচারে বিশেষ সময় দেননি রাহুল গান্ধী। প্রিয়াঙ্কা, সনিয়াকেও দেখা যায়নি। একমাত্র কিছুটা সময় দিয়েছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে। দলের রাজ্য নেতাদের উপরই ভরসা করেছিল কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। কার্যক্ষেত্রে কংগ্রেসের এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা একেবারে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তাছাড়া, আপের উপস্থিতিও কংগ্রেসের এই হতাশাজনক ফলের অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে এসেছে। ১২.৯১ শতাংশ ভোট পেয়েছে তারা।