সিমলা: নির্বাচনে জয় পেলেও, মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা স্থির করতেই কালঘাম ছুটছে কংগ্রেসের (Congress)। বৃহস্পতিবারই গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের (Himachal Pradesh Assembly Election 2022) ফল প্রকাশ হয়। একদিকে যেখানে গুজরাটে রেকর্ড ভোটে জয়ী হয় বিজেপি, সেখানেই হিমাচল প্রদেশে পাঁচ বছর বিজেপির শাসনের পর ফের একবার জয় পেল কংগ্রেস। হিমাচলের ৬৮টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৪০টিতেই জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। জয়ের আনন্দে মাতলেও মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। হিমাচল প্রদেশের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা বাছতে শুক্রবারই বৈঠকে বসেন কংগ্রেসের ৪০ জন জয়ী বিধায়ক। পর্যবেক্ষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। কিন্তু সেই বৈঠকে কোনও ফল মেলেনি। শেষ অবধি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বই হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেবেন। সূত্রের খবর, রবিবারের মধ্যেই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবে।
বৃহস্পতিবার জয়ের পরই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা-আলোচনা শুরু হয়। শুক্রবার ৪০ জন নবনির্বাচিত বিধায়করা দলের রাজ্য় সভাপতি, পর্যবেক্ষক রাজীব শুক্লা, ভূপেশ বাঘেল ও ভূপিন্দর সিং হুডার সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সকল বিধায়কের সঙ্গে কথা বলে তাদের মতামত ও পছন্দ জানতে চাওয়া হয়। সূত্রের খবর, বৈঠকে সকল বিধায়কেরা একটি নামে সহমত হতে না পারাতেই শীর্ষ নেতৃত্বের হাতে মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে জানানো হয়, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব যা সিদ্ধান্ত নেবে, তাই-ই সকলে মেনে নেবেন।
কংগ্রেসের হিমাচল প্রদেশের পর্যবেক্ষক রাজীব শুক্লা বলেন, “আমরা আগামিকাল কেন্দ্রীয় শীর্ষনেতৃত্বের কাছে বৈঠকের রিপোর্ট জমা দেব। এরপরে তারা যাকে ইচ্ছা বেছে নিতে পারেন”। বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর নাম চূড়ান্ত না হওয়া নিয়ে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্বের যে জল্পনা শুরু হয়েছিল, তাও উড়িয়ে দেন তিনি।
অর্থাৎ এবারে হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ের গুরু দায়িত্ব এসে পড়ল দলনেত্রী সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ও কংগ্রেসের নবনির্বাচিত সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের উপরে। আগামিকাল, রবিবারের মধ্যেই তারা হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা জানিয়ে দেবেন।