বেঙ্গালুরু: আর কিছুদিনের অপেক্ষা। তারপরই কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচন (Karnataka Assembly Election 2023)। আগামী ১০ মে কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে, এ দিনই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) তরফে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়। তবে নির্বাচনের আগেই বিপাকে পড়লেন কর্নাটকের কংগ্রেস প্রধান ডিকে শিবকুমার(DK Shivakumar)। মঙ্গলবার একটি নির্বাচনী প্রচারে তাঁকে টাকা ওড়াতে দেখা যায়। বাসের ছাদ থেকে কংগ্রেস নেতার ৫০০ টাকার নোট ওড়ানোর ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই উঠেছে বিতর্ক-সমালোচনার ঝড়। ভোটারদের টাকা দিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার কর্নাটকের মান্ড্য জেলার বেভিনাহাল্লিতে কংগ্রেসের হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন ডিকে শিবকুমার। বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই কংগ্রেসের তরফে ‘প্রজা ধ্বনি যাত্রা’ শুরু করা হয়েছে। সেই কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ডিকে শিবকুমার। সেখানেই তিনি উপস্থিত হওয়া জনতা, যাদের মধ্যে অধিকাংশই স্থানীয় শিল্পী ছিলেন, তাদের লক্ষ্য করে ৫০০ টাকার নোট ছোড়েন।
#WATCH | Karnataka Congress Chief DK Shivakumar was seen throwing Rs 500 currency notes on the artists near Bevinahalli in Mandya district during the ‘Praja Dhwani Yatra’ organized by Congress in Srirangapatna. (28.03) pic.twitter.com/aF2Lf0pksi
— ANI (@ANI) March 29, 2023
এই ভিডিয়ো সামনে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক । নির্বাচনী প্রচারে কীভাবে একজন প্রার্থী টাকা ওড়াতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শাসক দল বিজেপি। ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টারও অভিযোগ আনা হয়েছে ডিকে শিবকুমারের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, কর্নাটকের মান্ড্য অঞ্চলে ভোক্কালিগা সম্প্রদায় অধ্যুষিত। কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার নিজেও ওই সম্প্রদায়ের। সেই কারণে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ভোক্কালিগা প্রতিনিধি হিসাবেই শিবকুমারকে তুলে ধরা হচ্ছে। কংগ্রেস সূত্রে খবর, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হতে পারেন শিবকুমার। সেই কারণে নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে কংগ্রেসের তরফে প্রথম দফার যে ১২৪ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়, তাতে শিবকুমারের নাম ছিল। কর্নাটকের কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার কনকপুরা আসন থেকে প্রার্থী হয়েছেন।
২০১৮ সালের কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে মোট ২২৪ আসনের মধ্যে ১২১টি আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। কংগ্রেস জিতেছিল ৭০টি আসনে এবং জেডিএস পেয়েছিল ৩০টি আসন। শুরুতে কংগ্রেস ও জেডিএস জোট সরকার গঠন করলেও, ২০১৯ সালে কংগ্রেস ও জেডিএসের সদস্যরা গণ-ইস্তফা দেওয়ায় সরকারের পতন হয় এবং বিদ্রোহী বিধায়কদের সমর্থক নিয়ে বিজেপি সরকার গঠন করে।