বেঙ্গালুরু: নির্বাচনের আগেই বিজেপিতে বড় ভাঙন। দল ছাড়লেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ সেত্তার (Jagadish Settar)। রবিবারই তিনি বিজেপি থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে (Karnataka Assembly Election 2023) তাঁকে প্রার্থী না করার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সেত্তার। প্রবীণ নেতা জানিয়েছেন, দলের পাশাপাশি তিনি নিজের বিধানসভার পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন।
আগামী ১০ মে কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচন। ভোটের ফল প্রকাশ হবে আগামী ১৩ মে। মাস খানেক আগে থেকেই জোরকদমে প্রচার শুরু করে দিয়েছে বিজেপি, কংগ্রেস সহ সমস্ত রাজনৈতিক দল। ইতিমধ্য়েই বিরোধী দল কংগ্রেস তিন দফায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। শাসক দল বিজেপিও দুই দফায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা নিয়ে কোনও অশান্তি না হলেও, গণ্ডগোল বেধেছে বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘিরেই। একাধিক নেতার নাম না থাকায় তাঁরা দলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। শীঘ্রই তৃতীয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ না করা হলে গণ-ইস্তফা দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। এই বিক্ষুব্ধ নেতাদের মধ্যেই অন্যতম ছিলেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী জগদীশ সেত্তার।
রবিবার প্রবীণ বিজেপি নেতা ঘোষণা করেন তিনি দল থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন। আজই তিনি ইস্তফাপত্র জমা দেবেন। বিজেপি ছাড়ার পাশাপাশি তিনি নিজের বিধানসভা আসন থেকেও ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছেন। তবে দল ছাড়লেও রাজনীতির ময়দান ছাড়ছেন না, এ কথা সাফ জানিয়েছেন জগদীশ সেত্তার। তিনি জানান আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তিনি অবশ্য়ই লড়বেন। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট না পাওয়ার পিছনেও পরিকল্পনামাফিক চক্রান্ত রয়েছে বলেই দাবি করেন লিঙ্গায়ত নেতা।
বিগত এত বছর ধরে দলের জন্য কী কী করেছেন, তার হিসাব দিয়ে ক্ষোভ উগরে প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, “যেভাবে আমায় অপমান করা হল, তাতে আমি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত…আমার মনে হয়েছে, ওদের চ্যালেঞ্জ করতেই হবে। তাই আমি নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি সিরসি (বিধানসভা কেন্দ্র) যাব এবং বিধানসভা স্পিকারের কাছে নিজের ইস্তফাপত্র জমা দেব। এরপর আমি দল থেকেও ইস্তফা দেব, যাকে এই রাজ্যে আমিই তিলে তিলে গড়ে তুলেছিলাম।”