কলকাতা : মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে কলকাতা পুরভোটের গণনা। ভোটের দিন শাসক-বিরোধী তরজায় উত্তপ্ত হয়েছিল পরিস্থিতি। জায়গায় জায়গায় বিজেপিকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। তবে গণনার দিন বেশ কয়েক ঘণ্টা কেটে গেলেও কলকাতায় বিজেপির সদর দফতরে দেখা গেল না বিজেপি নেতাদের।
শাসকদলের বিরুদ্ধে গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থও হয়েছিল বিরোধী দল। শাসকদলের বিরুদ্ধে ভোটে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি, তবে পুনর্নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা নেই বলে জানিয়ে দেয় কমিশন। বিজেপি প্রথম থেকেই তাই বলে আসছে যে কলকাতায় ছাপ্পার জয় হবে, তাই কলকাতার পুরভোট নিয়ে আশাবাদী নয় তারা। সম্ভবত সেই কারণেই গেরুয়া শিবিরের দফতর ফাঁকা।
এ দিন কয়েক রাউন্ডের গণনা শেষেই তৃণমূলের জয় কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। এই ফলাফল দেখে বিজেপি নেতা সমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এটাই আশ্চর্য ঘটনা যে বিরোধীরা কয়েকটা আসনে এগিয়ে আছে। যেভাবে ভোট হয়েছে তাতে তো জানি ১৪৪ আসনে তৃনমূল জিতবে।’ তাঁর কথায়, যেভাবে নির্বাচন কমিশন, মানুষের সামনে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে, যেভাবে পুলিশ কমিশনার বললেন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে, তাতে এই ফলাফল অত্যন্ত স্বাভাবিক। তাঁর দাবি, একাধিক জায়গায় প্রার্থীরা আক্রান্ত হয়েছে, ইভিএম ভেঙে ফেলা হয়েছে। তারপরও নির্বাচন কমিশন কোনও বিশৃঙ্খলা দেখতে পায়নি।
তবে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হয়েও কেন নেতাদের দফতরে দেখা গেল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সকাল থেকে শুধু নিরাপত্তা রক্ষী ছাড়া আর কাউকেই দেখা যায়নি।
উল্লেখ্য, পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কী ভাবে ভোট হয়েছে তার প্রমাণ দেওয়ার জন্য বিজেপির তরফ থেকে সব ছবি ও ভিডিয়ো ফুটেজ পাঠানো হয় কমিশনে। ভোট শেষে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে যায় বিজেপির প্রতিনিধি দল। ঘটনাস্থলে এসে তাদের তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।
কলকাতা পুরভোট সন্ত্রাসের অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থও হয়েছে বিজেপি। তথ্য প্রমাণ দিয়ে অভিযোগপত্র দাখিলের আবেদন জানিয়েছে বিজেপি। মামলা মঞ্জুর করেছেন প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন : KMC Election Result 2021: নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথে তৃণমূল, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে ‘খেলা হবে’ গান