কলকাতা : কলকাতা পুর নির্বাচনের গণনা শুরু হয়েছে। কয়েক রাউন্ড গণনা শেষে বেশির ভাগ আসনেই এগিয়ে রয়েছে শাসক দল তৃণমূল। তবে নির্বাচন কমিশনের ঘোষণার আগেই একাধিক জায়গায় তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ী বলে উল্লেখ করে লাগানো হল হোর্ডিং। সোমবার রাতেই ২ নম্বর ওয়ার্ডে দেখা যায় এরকমই একটি পোস্টার। আর আজ গণনা শেষ হওয়ার আগেই হোর্ডিং লাগানো হল খোদ মুুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে। সেই হোর্ডিং-এ ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘পুর প্রতিনিধি’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রাথমিক ট্রেন্ডে এগিয়ে রয়েছেন মমতার ভ্রাতৃবধূ কাজরী।
মঙ্গলবার গণনা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মমতার বাড়ির সামনে দেখা যায় ওই হোর্ডিং। সেখানে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, মমতার বাড়ির সামনেই শুরু হয়েছে আবীর খেলা। বাজানো হচ্ছে খেলা হবে গান। বহু সমর্থক উপস্থিত হয়েছেন। সার্বিকভাবে ১০০-র বেশি ওয়ার্ডে এগিয়ে আছে তৃণমূল। তবে আগে থেকেই যে শাসক দল জয় নিয়ে কতটা আত্মবিশ্বাসী, তা বোঝা যাচ্ছে হোর্ডিং দেখে। সোমবার রাতেই ২ নম্বর ওয়ার্ডে দেখা যায় এরকমই একটি হোর্ডিং, যেখানে দিকে দিকে তৃণমূলকে জয়যুক্ত করার জন্য ধন্যবাদ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ওই ২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের পুর প্রার্থী সাংসদ শান্তনু সেনের স্ত্রী কাকলি সেন।
প্রত্যাশা মতোই প্রায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জয়ের পথে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই ১১৯ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী। তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে ১১৯, বিজেপি ৩, বাম ৩, কংগ্রেস ২, নির্দল ১ ওয়ার্ডে এগিয়ে। শহর কলকাতায় ফের উঠল সবুজ ঝড়।
এ দিন সাতসকালেই গণনাকেন্দ্রে পৌঁছে যান ফিরহাদ হাকিম। সঙ্গে ছিলেন তিন মেয়েও। এ দিন তিনি বলেন, “মানুষের যেটা রায়, সেটাকে আমরা সবাই সম্মান করব।” কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আস্থা রয়েছে বলেই তো, তারা এতদিন ধরে লড়ল। এটা ইমোশনের জন্য লড়েছেন। আমি তো আর কাউকে টাকা দিই নি, খাবার দিইনি, গিফট দিই নি। ওঁদের ইমোশনটাকে সম্মান দিতে হবে। তাঁদের ইমোশনের বহিঃপ্রকাশ হবে না, সেটা বলা যাবে না।”