Kolkata Municipal Corporation Election 2021: সিপিএমের পোস্টার হোর্ডিং ছিঁড়ে ডাস্টবিনে ফেলার অভিযোগ, ভোটের মুখেও উত্তপ্ত সেই ১২১ নম্বর ওয়ার্ড

Kolkata Municipal Corporation Election 2021: রবিবার রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। বিভিন্ন জায়গাতেই এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে বলে জানান তিনি। এমনকি দলীয় পতাকা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ।

Kolkata Municipal Corporation Election 2021: সিপিএমের পোস্টার হোর্ডিং ছিঁড়ে ডাস্টবিনে ফেলার অভিযোগ, ভোটের মুখেও উত্তপ্ত সেই ১২১ নম্বর ওয়ার্ড
সিপিএমের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ (নিজস্ব চিত্র)

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 13, 2021 | 2:30 PM

কলকাতা: যত দিন এগিয়ে আসছে, ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে কলকাতার আনাচ কানাচ। এবার ১২১ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থীর হোর্ডিং, পোস্টার, ব্যানার ছিঁড়ে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

বেহালা ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম মনোনীত প্রার্থী আশিস মন্ডল সোমবার সকালে প্রচারে বেরিয়েছিলেন। সে সময় দলের পতাকা ছেঁড়া অবস্থায় ডাস্টবিনে পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, রবিবার রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। বিভিন্ন জায়গাতেই এই একই দৃশ্য দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এমনকি দলীয় পতাকা পুড়িয়েও দেওয়া হয়েছে বলে  তাঁর অভিযোগ।

আশিস মণ্ডলের কথায়, “গতকাল রাতেই আমাদের কর্মীরা এই অঞ্চলে ব্যানার-ফেস্টুন পতাকা লাগিয়েছিলেন। কিন্তু রাতেই তৃণমূল আশ্রীত দুষ্কৃতীরা এই সব খুলে ছিঁড়ে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছে। আমরা বিষয়টি প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের নজরে আনতে চাই। দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জন্য আবেদন জানাচ্ছি।”

আশিস মন্ডল বেহালা থানা ও নির্বাচন কমিশনারের কাছে অভিযোগ করেছেন ইতিমধ্যেই। অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল প্রার্থী রূপক গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, “আমার সঙ্গে সকালেই আশিস মণ্ডলের দেখা হল। আমাকে ঘটনার কথা বলেছেন। তবে কে এই কাজ করেছেন, তা আমাকে বলেননি। আশিস মণ্ডল ছেলে হিসাবে ভালো। তবে কোন তৃণমূল কর্মীরা করেছেন, তার নামটা বলুন। তার নাম বললে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবেই।”

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে এই ওয়ার্ডটি ছিল বামেদের দখলে। ২০১০ সাল থেকে তা তৃণমূল নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়। সেই থেকেই এই এলাকায় তৃণমূলের একচ্ছত্র আধিপত্য। ২০১৫ সালেও তৃণমূলের ক্ষমতা অব্যাহত থাকে।

তবে  বেহালার এই ওয়ার্ডের মাঝেমধ্যেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বেশ কয়েকবার এলাকায় গুলিও চলে। অগাস্টেই তৃণমূল প্রার্থী রূপক গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চলে। তাঁর ফ্ল্যাটের জানলা লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গত মাসেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মামুদপুর এলাকা। কল্যাণ সংঘ পুজো প্যান্ডেলে বেশ কয়েকজন মহিলা ও যুবক বসেছিলেন। তখন তাঁদের ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় উঠে আসে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্বই।

ঘটনার নেপথ্যে ভাস্কর সেন নামে এক ব্যক্তির নাম উঠে আসে। গত দু’মাস আগেও ১২১ নম্বর ওয়ার্ডে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় এই ভাস্কর সেনের নাম জড়িয়েছিল। এখনও অবশ্য সেই ঘটনার কিনারা করতে পারেনি বেহালা থানার পুলিশ । উল্লেখ্য, কিছু দিন আগেই ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুরজিৎ দাসের বাড়ির সামনে গুলিচালনার ঘটনা ঘটে। এলাকায় সুরজিৎ তৃণমূলকর্মী হিসেবে পরিচিত বলে দাবি একাংশের। গুলি চালানোর ঘটনায় ভাস্কর সেন, প্রলয়, আনন্দ, বুবাই চক্রবর্তী, লাল্টু ঘোষ-সহ কয়েকজনের নাম উঠে আসে। পুরসভা ভোটের টিকিট বণ্টন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল বলে খবর। যদিও বিষয়টি নিয়ে পুলিশের তরফে কিছু জানানো হয়নি।

আরও পড়ুন: গ্রেফতারির পরও হাসপাতাল থেকে এখনই ছাড়া হচ্ছে না বিকাশ মিশ্রকে! কারণ জানতে মরিয়া সিবিআই