কলকাতা: কলকাতা পুরভোটের গণনা শুরু হতেই ঘাসফুলের দোলা শুরু শহরজুড়ে। শীতের মহানগরে মঙ্গলবারের সকালে উত্তুরে হাওয়ার সঙ্গে মিশে যাচ্ছে সবুজের সমারোহ। বেলা বাড়তেই একের পর আসনে জয় ছিনিয়ে নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। শাসকদলের যে হেভিওয়েট প্রার্থীর ভাগ্যফল এদিন প্রথম ঘোষিত হয়েছে, তিনি দেবাশিস কুমার। ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী।
এদিন সকাল থেকেই জয় নিয়ে আশাবাদী ছিলেন দেবাশিস কুমার। তিনি সকালেই জানিয়েছিলেন, “স্বাভাবিকভাবেই এটা বলতে পারি তৃণমূলের জয় যেটা অবধারিত ছিল সেটাই হতে চলেছে। আমার ওয়ার্ডে সিপিএম দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। বিজেপি তৃতীয় স্থানে।”
এরপরই সাড়ে ১০টার আগেই দেখা যায় ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন দেবাশিস কুমার। জয় তাঁর কাছে নতুন কিছু নয়। তবে এবারের জয়ের পর দেবাশিস কুমার বলেন, “যতবার জিতি ভালই লাগে। এবার আমার যেটা ভাল লাগছে, আমার চ্যালেঞ্জটা আমার সঙ্গেই ছিল। আমি গত ২০১৫ সালের নির্বাচনে ৫ হাজার ৭৫০ ভোটে জিতেছিলাম। আমার চ্যালেঞ্জ ছিল তার থেকে কত বেশি ভোটে জিততে পারি। সে চ্যালেঞ্জ আমি জিতেছি। তার জন্য আমি আমার ওয়ার্ডের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি এই জয় উৎসর্গ করতে চাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ২০২১ সালে নানা জনমুখী প্রকল্প ঘোষণা করেছিলেন, ভোটে জিতে তার বাস্তবায়ন করেছেন। মানুষ যে তাঁর উপর আস্থা রাখেন আবারও তার প্রতিফলন হল।”
একই সঙ্গে বামেদের ফলাফল যে কিছুটা আশানুরূপ সে কথাও মেনে নেন দেবাশিস কুমার। দেবাশিস কুমারের কথায়, “প্রথমদিকে বামেরা বিজেপিকে পিছনে ফেললেও পরে বিজেপি উঠে এসেছে অনেক জায়গাতেই। তবে খেয়াল করলে দেখা যাবে ব্যবধানটা অনেক কমে গিয়েছে। আগে বাম-বিজেপির যে ভোটের পার্থক্য ছিল, সেটা বামেরা অনেকটাই মেক-আপ করে এগিয়ে আসতে পেরেছে। এটা বোঝা যাচ্ছে, বাম তাদের ভোট অনেকটা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেছে, সফলও হয়েছে।”
ডেভিড হেয়ার ট্রেনিং স্কুলে ৮ নম্বর বরোর গণনা চলছে। সেখানেই ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডেরও গণনা হয়েছে। জয়ের খবর পেতেই দেবাশিস কুমার জানান, প্রথমে ওয়ার্ডের মানুষের কাছ যাবেন। তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। “মানুষ আমাকে জয়ী করেছেন, মানুষের সঙ্গে থেকেই জয়টা উদযাপন করব”, জানালেন দেবাশিস কুমার।