কলকাতা: ভোট প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রশ্ন তুললেন অভিষেকের রাজনৈতিক যোগ্যতা নিয়ে। সুকান্তের দাবি, তৃণমূল ক্ষমতায় না থাকলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বুথ সভাপতি হওয়ারও যোগ্য নন।
এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ওনার (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) উপর থেকে রাজনীতি করা অভ্যাস। প্যারাশুট নিয়ে নেমেছেন। রাজনীতির কিছুই বোঝেন না। ক্ষমতায় আছেন বলে এখন অনেক বড় বড় কথা বলছেন। যেদিন ক্ষমতায় থাকবেন না বুথ সভাপতি হওয়ার যোগ্যতা নেই ওনার।”
প্রসঙ্গত, শুক্রবার উত্তর কলকাতায় ভোট প্রচারে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এখানে কোনও বিরোধী দল নেই। তাদের কারও কোনও কর্মসূচিও নেই। উত্তর কলকাতার প্রতিটি ওয়ার্ডে তৃণমূলই জিতবে। একই সঙ্গে অভিষেক বার্তা দেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতাকে উন্নয়নের যে পথ দেখিয়েছেন, যেভাবে নাগরিক পরিষেবা উন্নতি করেছেন, সেই পথেই সকলকে চলতে হবে। ভোটে জিতে কাজের দিকে নজর দিতে হবে।”
বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, যদি তৃণমূল ১০ বছর ধরে উন্নয়নই করে আসে, তা হলে ইস্তাহারে এতকিছুর উল্লেখ করতে হল কেন। জল জমা নিয়ে কলকাতার সম্প্রতি যা অভিজ্ঞতা হয়েছে, তাতে স্পষ্ট রাজ্যের রাজধানীও জলযন্ত্রণা থেকে মুক্ত নয়। এরপরই সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এতদিন পর মুখ্যমন্ত্রী-সহ তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের মনে হয়েছে এগুলো করতে হবে। এত বছর ক্ষমতায় থাকার পর কী করতে হবে তার ফিরিস্তি না দিয়ে, কী করেছি সেটা বলা দরকার।”
এদিন কলকাতা পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী বিজয় ওঝার সমর্থনে পদযাত্রা করেন সুকান্ত মজুমদার। সেখানে বিজেপির রাজ্য সভাপতির গলায় প্রত্যয়ের সুুর, “এই ওয়ার্ডে আমাদের প্রার্থী বিজয় ওঝার টক্করে কেউ নেই। উনি জিতবেন এই ওয়ার্ড থেকে। কেউ আশেপাশে নেই, ধারেকাছে নেই।”
বৃহস্পতিবার ভোট প্রচারে বেরিয়ে শুভেন্দু অধিকারীও নিশানা করে তৃণমূলকে। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “সামনে পুরসভা ভোটে যদি মানুষ ভোট দিতে পারে তাহলে তৃণমূলের একজন কাউন্সিলরও জিতবেন না। তৃণমূলের প্রত্যেকটি কাউন্সিলর অসাধু। প্রত্যেকে কোটি কোটি টাকার মালিক। ২০১১ সালের আগে এরা গরিব ছিল। এখন পুকুর বুজিয়ে, কাটমানি তুলে কোটিপতি হয়ে গিয়েছে।”
এর আগে সিঙ্গুরের ধরনা মঞ্চ থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, “কলকাতা পুরনিগমে মারামারি করে ভোট লুঠ করতে চায়। সমস্ত বিধায়করা লোক জড়ো করে রাস্তায় বসে থাকবেন ১৯ তারিখ। আমাদের একটা কর্মীর গায়ে যদি হাত পড়ে কোনও এজেন্টের গায়ে যদি হাত পড়ে শুভেন্দুদা থেকে শুরু করে প্রত্যেক বিধায়ক, প্রত্যেক জেলা সভাপতি রাস্তায় বেরিয়ে সেদিন পশ্চিমবঙ্গকে অচল করে দেবে। পশ্চিমবঙ্গকে স্তব্ধ করে দেবে।”
আরও পড়ুন: LIVE: শেষবেলার প্রচারে সরগরম মহানগর, অলিগলিতে রাজনীতির ধ্বজা