কলকাতা: ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠক। আর এই জয়ের হাত ধরেই আরও একবার কংগ্রেস গড় অটুট রইল কলকাতা পুরসভার এই ওয়ার্ডে। ২০০৫ সাল থেকে এই ওয়ার্ডে জয়ী তিনি। বাম আমলের পাশাপাশি তৃণমূল শাসনকালেও টলানো গেল না সন্তোষকে। ১ হাজার ৯৫৬ ভোট জয়ী হয়েছেন তিনি।
জয়ের পর সন্তোষ পাঠক বলেন, “আমার এলাকার লোকজন যদি না থাকত তা হলে আমি এই ভোট জিততে পারতাম না। এই জয়ের জন্য আমার ওয়ার্ডের সমস্ত মানুষকে আমি ধন্যবাদ দিচ্ছি। একই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের কাছেও আমি ঋণী।”
ভোটের দিন ওয়ার্ডের বিভিন্ন বুথে দৌড়ে বেড়াতে দেখা গিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থীকে। এমনকী একাধিকবার গোলমালের ঘটনা ঘিরে সন্তোষ পাঠক ও তাঁর অনুগামীদের দিকে অভিযোগের আঙুলও উঠেছে। তবে সেসব দূরে ঠেলে এই জয়ে উচ্ছ্বসিত তিনি।
সন্তোষ পাঠকের কথায়, “ভোটের দিন কাল্টুদাকে মারল ওরা। অথচ ওদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, যদি খবর পান কেউ গন্ডগোল করেছে তাঁদের নাকি দল থেকে বের করে দেওয়া হবে। আমি বলব, অভিষেকের ক্ষমতা থাকলে বের করুক না।” চারদিকে যখন শুধুই ঘাসফুল, তখনও সন্তোষ পাঠক নিজের গড় অটুট রাখলেন।
এ প্রসঙ্গে সন্তোষ পাঠকের প্রতিক্রিয়া, “আমি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে খুবই বিরক্ত। ভোটের আগের দিন আমার এলাকার থানার যে ওসি এলাকার ছেলেদের গ্রেফতার করতে শুরু করেছিল। আমাদের প্রায় ২০টা ছেলেকে গ্রেফতার করেছে। মারধর করেছে। ভোটারদের হুমকি দিয়েছে।”
যদিও সন্তোষ পাঠকের জয়ের খবর আসতেই নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে গণনাকেন্দ্রে তুমুল গোলমাল বাধে বলে অভিযোগ। এই ওয়ার্ডেরই তৃণমূল প্রার্থী শক্তি সিং-এর অভিযোগ সন্তোষ পাঠকের কর্মীরাই তাঁর উপর হামলা চালিয়েছেন। অবিলম্বে সন্তোষ পাঠক ও তাঁর কর্মীদের গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। পরিস্থিতি সামাল দিতে কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রালের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। প্রাথমিকভাবে উত্তেজনা থামানো গেলেও পরে ফের উত্তেজনা ছড়ায়।
আরও পড়ুন: একের পর এক ওয়ার্ডে ফুটছে ঘাসফুল, কার্যত ব্যাকফুটে বাকিরা