Siliguri Municipal Election: ভোট দিতে এসে চোখে জল, কেঁদে ফেললেন বাম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্য

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Feb 12, 2022 | 1:20 PM

Siliguri Municipal Election: এবার পুরভোটে লড়ছেন তিনি। শিলিগুড়ির ভোটে বাম শিবিরের গুরুদায়িত্ব তাঁর কাধেই।

Follow Us

শিলিগুড়ি: ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি আবেগ প্রবণ হয়ে পড়লেন সিপিএম প্রার্থী তথা বর্ষীয়ান বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্য (Ashok Bhattacharya)। শনিবার ভোট (Siliguri Municipal Election) দিয়ে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কেঁদে ফেলেন অশোকবাবু। এই প্রথম স্ত্রীকে ছাড়া একাই ভোট দিতে এসেছেন তিনি। তাই প্রয়াত স্ত্রীর কথা মনে করেই চোখে জল এসে যায় তাঁর। প্রত্যেকবারই সস্ত্রীক ভোট দিতে যেতেন তিনি। কিন্তু গত বছরই প্রয়াত হন অশোকবাবুর স্ত্রী রত্না ভট্টাচার্য (Ratna Bhattacharya)। এ দিন তাই রত্নাদেবীর কথাই বারবার মনে পড়ল বাম প্রার্থীর। তবে ভোট নিয়ে তেমন কোনও অসন্তোষ প্রকাশ করেননি তিনি। ভোট মোটের ওপর শান্তিপূর্ণ হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন অশোক ভট্টাচার্য। এ ভাবে ভোট হলে বামেরা ভালো ফল করবে বলেই আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

শনিবার দুপুর ১২ টায় শিলিগুড়ি নেতাজি উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৬/২০১ নম্বর বুথে ভোট দেন অশোক ভট্টাচার্য। অশোক ভট্টাচার্য ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হলেও তিনি ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার। ভোট দিয়ে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। শুরুতেই বলেন, ‘এই প্রথম একা ভোট দিতে এলাম।’ এ কথা বলতে গিয়ে গলা আটকে আসে অশোকবাবুর। চোখে জল চলে আসে বর্ষীয়ান নেতার। তিনি জানান, প্রয়াত স্ত্রীর ছবিতে মালা দিয়েই ভোট দিতে এসেছেন তিনি। রত্নাদেবীর কথা স্মরণ করে অশোকবাবু বলেন, ‘ও থাকলে খুব খুশি হত। একসঙ্গে ভোট দিতে আসতাম।’ উল্লেখ্য, গত বছর প্রয়াত হন বাম নেতার ৪১ বছরের জীবন- সঙ্গী রত্নাদেবী। রত্না ভট্টাচার্যও সিপিএমের সদস্য ছিলেন।

অশোক ভট্টাচার্য ও রত্না ভট্টাচার্য

নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে শিলিগুড়ি পুরনিগমের ভোট সম্পর্কে অশোকবাবু জানান, মোটের ওপর পরিস্থিতি সন্তোষজনক।  ভোট শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে বলেই তিনি জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, শিলিগুড়ির একটা সংস্কৃতি আছে, সেটা যেন রক্ষা হয়। কলকাতার মতো এখানে বহিরাগতদের দাপাদাপি এখনও পর্যন্ত নেই বলেই উল্লেখ করেছেন তিনি। তবে পুলিশ প্রশাসনের আরও ভালো ভূমিকা হতে পারত বলেও মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এই পরিবেশ যদি বজায় থাকে, তাহলে সিপিএম জিতবে  সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পুরবোর্ড গঠন করবে।’ তৃণমূলের বিরুদ্ধে খাবার বিলি করার যে অভিযোগ শিলিগড়িতে উঠেছে, তার প্রেক্ষিতে অশোকবাবু বলেন, ‘খাবার বিলি, টাকা বিলি করবে, এ সব তো ধরেই নিয়েছি। তাই বলে, বুথ দখল যেন না হয়।’

১৯৯১ থেকে ২০১১ পর্যন্ত অশোক ভট্টাচার্য শিলিগুড়ির বিধায়ক ছিলেন। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। ২০১১ তে বিধানসভা ভোটে হারার পরও ২০১৬-তে শিলিগুড়ি থেকে জিতেছিলেন তিনি। এমনকি ২০১৫ তে প্রবল তৃণমূলের হাওয়াতেও কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে অশোক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে পুরবোর্ড দখল করে বামেরা।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

শিলিগুড়ি: ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি আবেগ প্রবণ হয়ে পড়লেন সিপিএম প্রার্থী তথা বর্ষীয়ান বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্য (Ashok Bhattacharya)। শনিবার ভোট (Siliguri Municipal Election) দিয়ে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কেঁদে ফেলেন অশোকবাবু। এই প্রথম স্ত্রীকে ছাড়া একাই ভোট দিতে এসেছেন তিনি। তাই প্রয়াত স্ত্রীর কথা মনে করেই চোখে জল এসে যায় তাঁর। প্রত্যেকবারই সস্ত্রীক ভোট দিতে যেতেন তিনি। কিন্তু গত বছরই প্রয়াত হন অশোকবাবুর স্ত্রী রত্না ভট্টাচার্য (Ratna Bhattacharya)। এ দিন তাই রত্নাদেবীর কথাই বারবার মনে পড়ল বাম প্রার্থীর। তবে ভোট নিয়ে তেমন কোনও অসন্তোষ প্রকাশ করেননি তিনি। ভোট মোটের ওপর শান্তিপূর্ণ হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন অশোক ভট্টাচার্য। এ ভাবে ভোট হলে বামেরা ভালো ফল করবে বলেই আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

শনিবার দুপুর ১২ টায় শিলিগুড়ি নেতাজি উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৬/২০১ নম্বর বুথে ভোট দেন অশোক ভট্টাচার্য। অশোক ভট্টাচার্য ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হলেও তিনি ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার। ভোট দিয়ে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। শুরুতেই বলেন, ‘এই প্রথম একা ভোট দিতে এলাম।’ এ কথা বলতে গিয়ে গলা আটকে আসে অশোকবাবুর। চোখে জল চলে আসে বর্ষীয়ান নেতার। তিনি জানান, প্রয়াত স্ত্রীর ছবিতে মালা দিয়েই ভোট দিতে এসেছেন তিনি। রত্নাদেবীর কথা স্মরণ করে অশোকবাবু বলেন, ‘ও থাকলে খুব খুশি হত। একসঙ্গে ভোট দিতে আসতাম।’ উল্লেখ্য, গত বছর প্রয়াত হন বাম নেতার ৪১ বছরের জীবন- সঙ্গী রত্নাদেবী। রত্না ভট্টাচার্যও সিপিএমের সদস্য ছিলেন।

অশোক ভট্টাচার্য ও রত্না ভট্টাচার্য

নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে শিলিগুড়ি পুরনিগমের ভোট সম্পর্কে অশোকবাবু জানান, মোটের ওপর পরিস্থিতি সন্তোষজনক।  ভোট শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে বলেই তিনি জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, শিলিগুড়ির একটা সংস্কৃতি আছে, সেটা যেন রক্ষা হয়। কলকাতার মতো এখানে বহিরাগতদের দাপাদাপি এখনও পর্যন্ত নেই বলেই উল্লেখ করেছেন তিনি। তবে পুলিশ প্রশাসনের আরও ভালো ভূমিকা হতে পারত বলেও মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এই পরিবেশ যদি বজায় থাকে, তাহলে সিপিএম জিতবে  সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পুরবোর্ড গঠন করবে।’ তৃণমূলের বিরুদ্ধে খাবার বিলি করার যে অভিযোগ শিলিগড়িতে উঠেছে, তার প্রেক্ষিতে অশোকবাবু বলেন, ‘খাবার বিলি, টাকা বিলি করবে, এ সব তো ধরেই নিয়েছি। তাই বলে, বুথ দখল যেন না হয়।’

১৯৯১ থেকে ২০১১ পর্যন্ত অশোক ভট্টাচার্য শিলিগুড়ির বিধায়ক ছিলেন। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। ২০১১ তে বিধানসভা ভোটে হারার পরও ২০১৬-তে শিলিগুড়ি থেকে জিতেছিলেন তিনি। এমনকি ২০১৫ তে প্রবল তৃণমূলের হাওয়াতেও কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে অশোক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে পুরবোর্ড দখল করে বামেরা।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

Next Article