Kamleshwar Dodiyar: ১২ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে লড়েছিলেন ভোটে, বিধায়ক হলেন ঝুপড়িবাসী

Kamleshwar Dodiyar: সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে অনেক প্রার্থী ছিলেন যাঁরা আর্থিক দুরবস্থার মধ্যেই নেমেছিলেন নিজেদের ভাগ্য পরীক্ষায়। তাঁদেরই একজন মধ্য প্রদেশের কমলেশ্বর দোদিয়ার। ভোট লড়ার জন্য ১২ লক্ষ টাকা ধার করতে হয়েছে। তবে, শেষ পর্যন্ত বিধায়ক হয়েছেন তিনি।

Kamleshwar Dodiyar: ১২ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে লড়েছিলেন ভোটে, বিধায়ক হলেন ঝুপড়িবাসী
জয়ের পর সমর্থকদের সঙ্গে কমলেশ্বর দোদিয়ারImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 04, 2023 | 9:52 AM

ভোপাল: চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে দুর্দান্ত ফল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তীসগঢ় – তিন রাজ্যেই জিতেছে গেরুয়া শিবির। কংগ্রেসের ভাগ্যে জুটেছে কেবল তেলঙ্গানা। তবে, এই বড় বড় দলগুলির বাইরেও সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনগুলিতে এমন কয়েকজন প্রার্থী ছিলেন, যাঁরা ভোটে লড়েছেন চরম দারিদ্র্যের মধ্যে। আস্থা রেখেছিলেন গণতন্ত্রে। তেমনই একজন মধ্য প্রদেশের কমলেশ্বর দোদিয়ার।

মধ্য প্রদেশে ১৬৩ আসনে জিতে দারুণভাবে ক্ষমতা ধরে রেখেছে বিজেপি। কংগ্রেস সেখানে আটকে গিয়েছে অনেক পিছনে, পেয়েছে মাত্র ৬৬টি আসন। আর বাকি একটি মাত্র আসনে জয় পেয়েছে ভারত আদিবাসী পার্টি। মধ্য প্রদেশের রতলামের সাইলানা আসনটি জিতে নিয়েছে এই নতুন দলটি। আর জয়ী প্রার্থী হলেন কমলেশ্বর দোদিয়ার।

কমলেশ্বর দোদিয়ার থাকেন একটি ঝুপড়ি ঘরে। বৃষ্টির সময় জল পড়ে ছাদ থেকে, কোনওমতে ত্রিপল দিয়ে ঠেকনা দেন। নির্বাচনে লড়ার মতো টাকাও ছিল না তাঁর। এর জন্য ১২ লক্ষ টাকা ঋণ নিতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু রবিবার ফল প্রকাশ হতে দেখা গিয়েছে, সাইলানা আসনে কমলেশ্বর কংগ্রেস প্রার্থী হর্ষ বিজয় গেহলটকে ৪৬১৮ ভোটে পরাজিত করেছেন। কমলেশ্বর পেয়েছেন ৭১,২১৯ ভোট। হর্ষ গেহলট পেয়েছেন ৬৬,৬০১ ভোট। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বিজেপির সঙ্গীতা চারেল। প্রসঙ্গত, এই আসনেই রাজ্যের মধ্যে সবথেকে বেশি ভোট পড়েছিল, ৯০.০৮ শতাংশ।

রবিবার ভোট গণনার সময়, কমলেশ্বরের জয়ের ব্যবধান যত বেড়েছে, তাঁর ঝুপড়ির আশেপাশের মানুষ তাঁকে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানাতে থাকেনষ তবে সেই সময় তাঁর মা সীতাবাই দিনমজুরের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। ৩৩ বছরের কমলেশ্বর আসলে বড় হয়েছেন এক শ্রমিক পরিবারে। ৬ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে কমলেশ্বর সবার ছোট। তবে, ওই ঝুপড়ি ঘর থেকেই তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এরপর, তিনি নির্মাণকর্মী হিসেবে কাজ নিয়ে রাজস্থানের কোটায় চলে গিয়েছিলেন। আশৈশব দারিদ্র্যকে তিনি খুব কাছ থেকে দেখেছেন। কজেই গরীবদের দুঃখ তিনি বুঝবেন বলেই মনে করছেন তাঁর বিধানসভা এলাকার মানুষ।