কলকাতা: রাজ্যের ১০৮ পুরসভার ভোটের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হবে? রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজি ও আইজি-র সঙ্গে বৈঠক করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী সংক্রান্ত মামলায় এমনই নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে চলছিল এই মামলার শুনানি। আদালত এও নির্দেশ দিয়েছে, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কমিশন ঠিক করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে কি না। কমিশনের সিদ্ধান্ত ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই লিখিত জানাতে হবে মামলার সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষকে। সব জেলাশাসকদের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন। জেলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বুধবারই স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠক।
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ১০৮টি পুরসভার নির্বাচন। তাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন কিনা, তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায় কমিশনের ওপরেই ছেড়েছে আদালত। যে সব জেলায় ভোট রয়েছে, সেই জেলাগুলিতে কী পরিস্থিতি তা জেনে তবেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পরে রাজ্যের ডিজি, আইজি ও স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে কমিশনকে।
আদালতের নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবারই স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন নির্বাচন কমিশনার। এরপরই বাহিনী নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মামলার প্রেক্ষিতে পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হলে অসুবিধা কোথায়? কোনও ক্ষতি তো নেই।’ গত সোমবার কেন্দ্রীয় বাহিনী সংক্রান্ত মামলায় এই পর্যবেক্ষণ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, বিধাননগর পুরনিগমের ভোটের ক্ষেত্রেও এই বিষয়টি হয়েছিল। বিধাননগর পুরনিগমে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন আছে কি না, সেই বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তার দায় নিতে হবে বলে উল্লেখ করেছিল হাইকোর্ট। ভোট প্রক্রিয়া যাতে শান্তিপূর্ণ হয়, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেই দেওয়া হয়েছিল। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াই ভোট হয়েছিল বিধাননগরে।
আরও পড়ুন: Singur Case: সিঙ্গুর মামলা থেকে মন্ত্রী বেচারাম মান্না-সহ ৩১ জন বেকসুর খালাস