চণ্ডীগঢ়: ফেব্রুয়ারি মাসেই পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচন। ভোট ঘোষণার আগেই একাধিক রাজনৈতিক বিতর্ক জাতীয় রাজনীতিতে জায়গা করে নিয়েছিল সীমান্তবর্তী এই রাজ্য। দেশের যে স্বল্প সংখ্যক কয়েকটি রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল তার মধ্য পঞ্জাব অন্যতম। তবে ভোট ঘোষণার আগে দলের অন্তদ্বন্দ্বে জেরবার হয়ে ওঠে শতাব্দী প্রাচীন এই দল। রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধুর সঙ্গে সংঘাত ও কংগ্রেস হাইকমান্ডের চাপে পড়ে নাটকীয়ভাবে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। ইস্তফা দিয়েই দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। সিধু চণ্ডীগঢ়ের কুর্সিতে বসতে আগ্রহী হলেও চরণজিৎ চন্নির ওপর আস্থা রেখে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব দিয়েছিলেন সনিয়া-রাহুলরা। চন্নির সরকারের সঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি সিধুর মতানৈক্য বারবার সংবাদ শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলীয় কোন্দল সামল দিতে কংগ্রেস জানিয়েছিল এবারে বিধানসভা নির্বাচনে যৌথ নেতৃত্বের ওপর আস্থা রেখেই নির্বাচনে যাবে কংগ্রেস। তবে কংগ্রেস থেকে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী অবস্থান পরিবর্তনের কথাই জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে দ্রুত মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারে কংগ্রেস।
জলন্ধরে নির্বাচন সংক্রান্ত এক ভার্চুয়াল সভায় যোগদান করে কংগ্রেস শীর্ষনেতা রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, দ্রুতই কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে কংগ্রেস। জল্পনা বাড়িয়ে রাহুল বলেন, “সাধারণত আমরা এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে অভ্যস্ত নই। কিন্তু যদি কংগ্রেস, আমাদের কর্মীরা এবং পঞ্জাব যদি চায় তবে আমরা দ্রুত মুখ্যমন্ত্রী মুখ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব।কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব। বাকিরা টিম হিসেবে কাজ করবেন।” রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মুখ নিয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে।
পঞ্জাব কংগ্রেসের সবথেকে মাথা ব্যথার কারণ দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব। অনেকেরই আশঙ্কা মুখ্যমন্ত্রী মুখ বেছে নিলে মুখ্যমন্ত্রী চন্নি ও কংগ্রেস সভাপতি সিধুকে কেন্দ্র করে দলীয় কোন্দল আরও বাড়তে পারে। সি এই প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে দুই বিবাদমান নেতার কথা হয়েছে, এবং তাঁরা কথা দিয়েছেন যাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে বেছে নেওয়া হোক অন্যজন তাঁকেই সমর্থন করবেন। রাহুল বলেন, “গাড়িতে যেতে যেতে চন্নি ও সিধুর সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের দুজনেরই প্রশ্ন পঞ্জাব কংগ্রেস কে নেতৃত্ব দেবে? দুজনেই একমত কোনও একজনকেই নেতৃত্ব দিতে হবে। তাই তাঁরা আমাকে জানিয়েছেন যাঁকেই বেছে নেওয়া হোক না কেন তাদের সমর্থন তাঁর প্রতি থাকবে।”
আরও পড়ুন: Reactions on Rahul Gandhi’s Twitter Row : “জনগণ ভোট না দিলে এরপর পাপ্পু নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করবেন” টুইটার বিতর্কে রাহুলকে খোঁচা নাগরিকদের