Golden Temple Mob Lynching: প্রার্থনা চলাকালীনই পবিত্র তরবারি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা, স্বর্ণ মন্দিরে গণপিটুনিতে মৃত ১

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Dec 19, 2021 | 6:57 AM

Golden Temple Mob Lynching: প্রতিদিন গুরুদ্বারের ভিতরে প্রার্থনা টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। সেই ফুটেজেও গোটা ঘটনাটি ধরা পড়েছে এবং সাধারণ মানুষদের ওই ব্যক্তিকে আটকানোর চেষ্টা করতেও দেখা যায়।

Golden Temple Mob Lynching: প্রার্থনা চলাকালীনই পবিত্র তরবারি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা, স্বর্ণ মন্দিরে গণপিটুনিতে মৃত ১
ওই ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফাইল চিত্র

Follow Us

চণ্ডীগঢ়: ধর্মীয় স্থানে অবমাননাকর আচরণ করার অপরাধে পিটিয়ে খুন করা হল এক ব্যক্তিকে। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাব(Punjab)-র অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরে (Golden Temple)। বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election 2022) কয়েক মাস আগেই এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা রাজ্যজুড়ে।

শনিবার পঞ্জাব পুলিশের (Punjab Police) তরফে জানানো হয়, এক ব্যক্তি স্বর্ণ মন্দিরের ভিতর ঢুকে অবমাননাকর আচরণ করেন, যা ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত পৌঁছয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উত্তেজনা ছড়ায় এবং ক্ষিপ্ত জনতার মারধরে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিকেলে প্রার্থনা চলাকালীন যখন পুণ্যার্থীদের ভিড় ছিল, সেই সময় এক ব্যক্তি রেলিং টপকে স্বর্ণমন্দিরের গর্ভগৃহে ঢুকে পড়েন। সেখানেই রাখা ছিল শিখদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ গুরু গ্রন্থ সাহিব ও পবিত্র তলোয়ার। ওই ব্যক্তি সেই তলোয়ার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এরপরই উপস্থিত পুণ্যার্থীরা তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করে।

প্রতিদিন গুরুদ্বারের ভিতরে প্রার্থনা টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। সেই ফুটেজেও গোটা ঘটনাটি ধরা পড়েছে এবং সাধারণ মানুষদের ওই ব্যক্তিকে আটকানোর চেষ্টা করতেও দেখা যায়।  পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ক্ষিপ্ত জনতার মারধরের কারণেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। কোথা থেকে ওই ব্যক্তি স্বর্ণ মন্দিরে প্রবেশ করল, কতজন তাঁর সঙ্গে ছিল, এই তথ্যগুলি জানার জন্য পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে।

অমৃতসরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার পরমিন্দর সিং ভান্ডাল বলেন, “বিকেলের প্রার্থনা চলাকালীন এক ব্যক্তি লাফিয়ে ব্যরিকেড টপকায় এবং সাধারণের জন্য নিষিদ্ধ জায়গায় ঢুকে পড়ে। সেই সময়ে সকলে প্রার্থনা করছিলেন এবং প্রণাম করছিলেন। পবিত্র তলোয়ারের দিকে হাত বাড়াতেই উপস্থিত দর্শনার্থীরা তাঁকে ধরে ফেলে। ২০-২৫ বছরের ওই ব্যক্তির মাথায় হলুদ কাপড় বাধা ছিল। রেলিং টপকিয়ে গর্ভগৃহের ভিতরে প্রবেশ করতেই, ভিতরে উপস্থিত ধর্মীয় গুরুরা তাঁকে ধরে ফেলে এবং উপস্থিত জনতা তাঁকে টেনে হিচড়ে বাইরে নিয়ে যায়। করিডরের বাইরে মারধরের কারণেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।”

পুলিশের তরফে আরও জানা গিয়েছে যে, মৃত ব্য়ক্তি উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি একাই ছিলেন। গোটা চত্বরে যত সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আজ ওই ব্যক্তির ময়নাতদন্ত করা হবে। মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানারও চেষ্টা করছে পুলিশ।

এই ঘটনা জানাজানি হতেই পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি টুইট করে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের কথা জানান। গোটা ঘটনার সমালোচনাও করেন তিনি। উল্লেখ্য, এর আগেও স্বর্ণমন্দিরে এই ধরনের বিশৃঙ্খলা, অবমাননাকর ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না করার অভিযোগ রয়েছে শাসকদল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।

বিরোধী দল শিরোমণি আকালি দলের তরফেও গোটা ঘটনার সমালোচনা করা হয়েছে। একইসঙ্গে শাসক দলকে আক্রমণ করে বলা হয়েছে, “এই ঘটনার পিছনে গভীর কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারকে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখতেই হবে। এটি অত্য়ন্ত দুঃখজনক ঘটনা। পঞ্জাবকে দুর্বল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিছুজন এটিকে রাজনৈতিক খেলায় পরিণত করে ফেলেছে।”

আরও পড়ুন: Justice Nanavati Passes Away: প্রয়াত গুজরাট দাঙ্গার তদন্তভার সামলানো বিচারপতি নানাবতী

Next Article