নয়া দিল্লি : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিভ্রাটের ঘটনার (Security Lapse) পঞ্জাবের কংগ্রেস শাসিত সরকারকে কার্যত তুলোধনা করছে বিজেপি শিবির। ঘটনার জন্য সরাসরি চরণজিৎ সিং চন্নির সরকারকে দায়ী করছেন বিজেপি নেতারা। বিজেপির তরফে এই নিরাপত্তায় গাফিলতিকে, ‘কংগ্রেসের খুনে চেষ্টা’ বলে আক্রমণ করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার জেরে ইতিমধ্যে পঞ্জাব সরকারের রিপোর্ট তলব করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Union Home Minister Amit Shah)। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (MHA) জানিয়েছে, বুধবার পঞ্জাব সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা লঙ্ঘন করা হয়েছে। নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়টি বিবেচনা করে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পঞ্জাব সরকারের কাছে একটি বিশদ রিপোর্ট চেয়েছে। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, কোথায় খামতি ছিল, তার দায় কার, সেই সব নির্ধারণ করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পঞ্জাব সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
The Ministry of Home Affairs has sought a detailed report on today’s security breach in Punjab. Such dereliction of security procedure in the Prime Minister’s visit is totally unacceptable and accountability will be fixed.
— Amit Shah (@AmitShah) January 5, 2022
এর পাশাপাশি অমিত শাহ টুইটারে লিখেছেন, “আজ পঞ্জাবে কংগ্রেস যা করেছে, তা একটি ট্রেলার, যা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস কী ভাবছে এবং কীভাবে দলটি চলে। বার বার মানুষের দ্বারা প্রত্যাখ্যানের ফলে তারা এখন এই পথ বেছে নিয়েছে। কংগ্রেসে শীর্ষ নেতৃত্বের উচিত আজকের ঘটনার জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া।”
Today’s Congress-made happening in Punjab is a trailer of how this party thinks and functions. Repeated rejections by the people have taken them to the path of insanity. The topmost echelons of the Congress owe an apology to the people of India for what they have done.
— Amit Shah (@AmitShah) January 5, 2022
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে আরও বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সময়সূচী এবং ভ্রমণ পরিকল্পনা পঞ্জাব সরকারকে আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপরও কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মন্ত্রক।
যদিও এদিন বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পঞ্জাবে মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ চন্নি জানিয়েছেন, “বিক্ষোভকারীরা যেখানে বসেছিলেন তার অনেক আগেই প্রধানমন্ত্রীর কনভয় থামিয়ে দেওয়া হয়। কোনও ধরনের বিক্ষোভ বা অবরোধ তুলতে কমপক্ষে ১০ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগে। প্রধানমন্ত্রীকে এই কথা জানানো হয়েছিল, এবং তাঁকে অন্য রাস্তা দিয়ে গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।” এর পাশাপাশি চন্নি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে কোনও পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হবে না।
আরও পড়ুন : Molnupiravir: পেশি ও হাড়ের ক্ষতির সম্ভাবনা, মলনুপিরাভিরে সায় নেই কোভিড টাস্ক ফোর্সের