চণ্ডীগঢ় : রাজনৈতিক মহলে চাপা গুঞ্জন শোনা যায়, তিনি নাকি রাহুল গান্ধীর ‘খাস’। কিন্তু তারপরেও পঞ্জাব ভোটের (Punjab Assembly Election 2022) আগে তাঁকে কিছুটা নিরাশই করেছে কংগ্রেস (Congress)। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য কোনও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলের হাইকমান্ড। কংগ্রেস নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তের পর কিছুটা বিমর্ষই হবেন পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধান নভজ্যোৎ সিং সিধু (Punjab Congress Chief Navjot Singh Sidhu)।
অমরিন্দর সিং দলত্যাগের পর পঞ্জাব কংগ্রেসে কার্যত সিধুর একার ‘রাজ’ চলছে। চন্নি মুখ্যমন্ত্রী হলেও দলের অভ্যন্তরে সিধুরই প্রভাব বেশি। কংগ্রেসের অন্দরে কান পাতলে অন্তত এমনটাই শোনা যায়। সম্প্রতি নিজেকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করা হবে, এমনটা ভেবে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও নামতে দেখা গিয়েছে সিধুকে। ঝাঁঝালো সব বাক্যবাণে বিদ্ধ করেছেন বিরোধী দলগুলিকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে কারও নামই ঘোষণা করল না কংগ্রেস হাইকমান্ড।
কংগ্রেস হাইকমান্ডের তরফে পঞ্জাব ইউনিটকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিধানসভা নির্বাচন দলের সম্মিলিত নেতৃত্বকে সামনে রেখেই লড়াই করা হবে। মূলত পঞ্জাবের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ভোটারদের মধ্যে একটি ভারসাম্য বজায় রাখার জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। দলের হাইকমান্ড জানিয়েছে, নভজ্যোত সিং সিধুকে জাটদের মুখ হিসেবে সামনে রাখা হবে। মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নিকে সামনে রাখার হবে দলিত সম্প্রদায়ের মুখ হিসেবে। একইরকম ভাবে সুনীল জাঁখরকে হিন্দুদের মুখ হিসেবে তুলে ধরা হবে।
আর এই সিদ্ধান্ত মোটেই খুব একটা ভালভাবে নিচ্ছেন না নভজ্যোত সিং সিধু। এর আগে চরণজিৎ সিং চন্নিকে মুখ্যমন্ত্রী করার সময়েও আপত্তি জানিয়েছিলেন তিনি। তারপর ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য নিজেকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে তুলে ধরায় কোনও খামতি রাখছিলেন না সিধু।
এক প্রবীণ কংগ্রেস নেতার কথায়, “সিধু সাধারণত এই বলে তার জনসভায় ভাষণ শুরু করেন, ‘আমি এই করেছি, এবং আমি এই করব’। ‘আমরা’ কথাটা সিধুর মধ্যে দেখা যায়নি।” ওই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আরও বলেন, “সিধু প্রকাশ্যে অশ্বানি শেখাদি এবং নভতেজ চিমাকে যথাক্রমে সুলতানপুর লোধি ও বটলায় দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এভাবেই যদি টিকিট বিলি হবে, তবে নির্বাচনী কমিটি ঘোষণা করে লাভ কী?
শুধু সিধুই নন, পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে ‘ফুল টার্ম’ দায়িত্ব পাওয়ার আশায় ছিলেন চরণজিৎ সিং চন্নিও। তাঁকেও বিভিন্ন জনসভায় সিধুর মতেই আচরণ করতে দেখা গিয়েছে। কংগ্রেস হাইকমান্ডের ঘনিষ্ঠ সূত্রে মতে, পঞ্জাব ইউনিটের এই অভ্যন্তরীণ লড়াইয়ের কারণেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে কারও নাম ঘোষণা না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : Rajnath Singh: ‘সংঘাতের সম্ভাবনা কোনওভাবেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না’, সীমান্ত-সড়কে জোর রাজনাথের