নয়া দিল্লি: গতকালই পঞ্জাবের ফিরোজ়পুরে ঘটে গিয়েছিল এক অপ্রীতিকর ঘটনা। যাত্রাপথে অবরোধে মুখোমুখি হয়ে একটি ব্রিজে ২০ মিনিট থমকে থাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কনভয়। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ারও অভিযোগ ওঠে। শেষমেশ কর্মসূচি বাতিল করে আবার ভাটিন্ডা বিমানবন্দরে ফিরে যান প্রধানমন্ত্রী। এই ঘটনা নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক সংঘাতের মাঝে কংগ্রেসের অস্থায়ী সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে ফোনে কথা বললেন কংগ্রেস শাসিত পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ চন্নি।
সনিয়ার সঙ্গে কী কথা হল চন্নির
সামনেই পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচনের। নির্বাচনের আগেই নানা ইস্যুকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস সরকারের অন্তঃকলহ প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে বারবার অস্বস্তি বেড়েছে কংগ্রেসের। এবার স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতির প্রশ্ন ওঠায় কংগ্রেস সরকারের বিড়ম্বনা বেড়েছে। সূত্রের খবর, ফোনে সনিয়াকে সমগ্র ঘটনার ব্যখ্যা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ চন্নি।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য প্রশাসন ও পুলিশের দিকে আঙুল তুলতে শুরু করেছে বিজেপি। অনেকেই আবার দাবি করছেন, পঞ্জাবে পরিকল্পিতভাবে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর ক্ষতি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। রাজ্য পুলিশ বিক্ষোভরত কৃষকদের সঙ্গে চক্রান্ত করেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপির একাংশ।
কংগ্রেসের পাল্টা যুক্তি
কংগ্রেস পাল্টা যুক্তি ছিল, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় কোনও গাফিলতি ছিল না। নিরাপত্তা বিঘ্নের অভিযোগ তুলে রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী, এই সিদ্ধান্তকেও ভাল চোখে দেখছে না কংগ্রেস। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গলদ সংক্রান্ত মামলা সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকার। কারণ ইতিমধ্যেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ প্রধানকে বরখাস্তের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছিল কাল
গতকাল সকালেই ভাটিন্ডাতে অবতরণ করেছিল প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিমান। সেখান থেকে হুসেনিওয়ালাতে জাতীয় শহীদ স্মৃতি সৌধে যাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। হেলিকপ্টার করে সেখানে যাওয়ার কথা থাকলেও খারাপ আবহাওয়ার কারণে দৃশ্যমানতা না থাকায় সড়ক পথেই হুসেনিওয়ালার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাপথে তাঁর কনভয় যখন একটি ব্রিজের উপর পৌঁছয়, তখন দেখা যায় যে বেশ কিছু বিক্ষোভকারী অবরোধ করেছে। ওই ব্রিজের উপরে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে সেখান থেকে তাঁকে ফিরিয়ে আনেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা আধিকারিকরা।