তেলঙ্গানা: রবিবার তেলঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনের গণনা। ভাগ্যগণনা হবে ১১৯টি আসনে। কেসিআর কি পারবে ক্ষমতা ধরে রাখতে? নাকি পাশা পাল্টাবে? বুথ ফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত বলছে, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে তেলঙ্গানায়। কেসিআর-এর দল গতবার একতরফা জয় নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু, বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, এবারের লড়াই এতটা সহজ হবে না কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের ভারত রাষ্ট্র সমিতির জন্য। যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ব্যাখ্যা, বুথফেরত সমীক্ষা কোনও চূড়ান্ত ফলাফল নয়। এখান থেকে কেবল জনমতের একটি আভাস পাওয়া যায়। অতীতে বিভিন্ন নির্বাচনী ফলাফলে বুথ ফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত পুরোপুরি বদলে যাওয়ার নজিরও রয়েছে।
তেলঙ্গানায় ১১৯ আসনের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে দরকার ৬০টি আসন। পোলস্ট্র্যাটের বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, কাঁটায় কাঁটায় লড়াই হতে চলেছে কংগ্রেস ও বিআরএস-এর মধ্যে। কেসিআর-এর দল পেতে পারে ৪৮-৫৮টি আসন। অন্যদিকে কংগ্রেস পেতে পারে ৪৯-৫৯টি আসন। খাতা খুলতে পারে বিজেপিও। ৫-১০টি আসন নিজেদের ঝুলিতে ভরতে পারে বিজেপি। এদিকে ‘কিং-মেকার’ হয়ে উঠতে পারে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির মিম। পোলস্ট্র্যাটের বুথ ফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত, মিমের ঝুলিতে ৬-৮টি আসন জেতে পারে।
২০১৮ সালের ভোটে ৮৮টি আসনেই জয়ী হয়েছিল কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দল। একতরফা জয় এসেছিল। তবে এবারের বুথ ফেরত সমীক্ষার পূর্বাভাস বলছে, লড়াই বেশ কঠিন হতে পারে টিম কেসিআর-এর জন্য। বুথ ফেরত সমীক্ষায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবার কেউই পাচ্ছে না। সিএনএক্স-এর বুথ ফেরত সমীক্ষাতেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়েরই পূর্বাভাস রয়েছে। সিএনএক্স-এর এক্সিট পোলে কংগ্রেস পাচ্ছে ৫২টি আসন। সেখানে কংগ্রেস পাচ্ছে ৫৪টি আসন। পাশাপাশি বিজেপির ৭টি এবং মিমের ৬টি আসন জেতার ইঙ্গিত রয়েছে সিএনএক্সের এক্সিট পোলে। যদি বুথ ফেরত সমীক্ষা মিলে যায়, সেক্ষেত্রে ভোট গণনা পরবর্তী সময়ে আসাদউদ্দিনের দলের ভূমিকা কী থাকে, সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।