EXCLUSIVE: বিজেপিকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন মমতা, কেমন আছে হাথরাসের নির্যাতিতার পরিবার?
Hathras Rape Victim: গত কয়েক বছরে মহিলা সুরক্ষা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে উত্তর প্রদেশে। মঙ্গলবার সেই ইস্যু ফের তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ করেছেন উন্নাও ও হাথরাসের কথা।
কেমন আছে হাথরাসের সেই পরিবার?
এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অখিলেশ যাদবের যৌথ সভার পরই হাথরাসে পৌঁছে গিয়েছিল Tv9 বাংলা। সেখান গিয়ে দেখা যায়, নির্যাতিতার পরিবারকে কার্যত দূর্গের মতো নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে বাস করছে তারা। মেটাল ডিটেক্টরের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করতে হয় সেই বাড়িতে। বাড়ির ছাদ থেকেও চারপাশে নজর রাখার ব্যবস্থা রয়েছে।
মমতা বন্দ্যপাধ্যায় নির্বাচনের আগে হাথরাস প্রসঙ্গ তুলেছেন শুনে নির্যাতিতার ভাই বলেন, ‘ওনার বক্তব্যকে স্বাগত জানাই।’ তবে জীবন বা পরিস্থিতি কোনওটাই যে বদলায়নি, সে কথা সাফ জানান তিনি।
নির্যাতিতার ভাই বলেন, ‘সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। সুরক্ষা সরিয়ে নেওয়া হলে কী হবে জানি না। কাজে যেতে পারি না, বাড়ির শিশুরা পড়াশোনা করতে যেতে পারে না।’ এমনকি দেড় বছর কেটে গেলেও রাজ্য সরকার যে চাকরি ও বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা দেয়নি বলেই দাবি করেন তিনি। একই সঙ্গে তাঁর দাবি দ্রুত নির্যাতিতার বিচার হওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘মামলা ফাস্ট ট্র্যাকে হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা হচ্ছে না।’
বিজেপিকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন মমতা। এই প্রসঙ্গে নির্যাতিতার ভাই বলেন, ‘ওনার কথাকে সম্মান করি। কিন্তু, ক্ষমা চেয়ে কী হবে? অন্যায় করে ক্ষমা চেয়ে কী লাভ?’
কী বলেছেন মমতা?
উন্নাও ও হাথরাসের ধর্ষণের ঘটনায় গোটা দেশ তোলপাড় হয়েছিল। এ দিন বিজেপি যখন তাদের ইস্তাহারে মহিলাদের সুবিধার কথা বলছে, তখন ফের একবার সে কথা মনে করালেন মমতা। এ দিন তিনি বলেন, ‘হাথরাসে কী হয়েছিল? উন্নাওয়ে কী হয়েছিল? আগে ক্ষমা চাও, তারপর ভোট চাইবে।’
দলিত কিশোরীকে গণধর্ষণ, গোটা দেশকে নাড়া দিয়েছিল হাথরাস
২০২০-র ১৪ সেপ্টেম্বর হাথরাসে এক ১৯ বছরের দলিত কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয়। চারজন মিলে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে শিরদাঁড়ায় আঘাত করে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। মৃত্যুর সঙ্গে বেশ কয়েকদিন লড়াই চলে কিশোরীর। ওই মাসেরই ২৯ তারিখে দিল্লির সাফদারজং হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে নির্যাতিতা। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর তার বাড়ির কাছেই তড়িঘড়ি মৃতদেহ পুড়িয়ে দেয় পুলিশ। নির্যাতিতার পরিবার অভিযোগ করেছিল, স্থানীয় পুলিশ তাড়াতাড়ি শেষকৃত্য করতে বাধ্য করেছিল। পুলিশ আধিকারিকদের দাবি ছিল, পরিবারের ইচ্ছা অনুযায়ীই মৃতদেহ দাহ করা হয়। হাথরাসের সেই গণধর্ষণ নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে।