Priyanka Gandhi: “ধর্ষণ এক জঘন্য অপরাধ, কেউ কীভাবে এ ধরনের কথা বলতে পারেন….” কংগ্রেস বিধায়ককে তীব্র নিন্দা প্রিয়ঙ্কার
Congress: কর্নাটকের কংগ্রেস বিধায়কের আচরণে মুখ পুড়েছে দলে হাই কমান্ডের। বিজেপি শিবির থেকে একের পর তীব্র আক্রমণ।
নয়া দিল্লি : দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদিকা প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। দলের হাই কমান্ডে যখন দুই তাবড় নেত্রী বসে রয়েছেন, সেই কংগ্রেসের কোনও সাংসদ কীভাবে ধর্ষণ নিয়ে এই ধরনের কুরুচিকর মন্তব্য করতে পারেন? কর্নাটকের কংগ্রেস বিধায়কের আচরণে মুখ পুড়েছে দলের হাই কমান্ডের। বিজেপি শিবির থেকে একের পর তীব্র আক্রমণ।
কর্নাটক-কাঁটায় বিদ্ধ কংগ্রেস
মাস খানেক বাদেই উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। আর সেখানে কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হলেও খুব একটা অবাক হওয়ার নয়। যোগীরাজ্যে মহিলা ভোটব্যাঙ্কের উপর আধিপত্য কায়েম করার চেষ্টা উঠে পড়ে লেগেছেন প্রিয়ঙ্কা। কিছুদিন আগে স্লোগান দিয়ে এসেছেন, “লড়কি হুঁ, লড় সকতি হুঁ।”
প্রিয়ঙ্কাকে বক্রোক্তি স্মৃতি ইরানির
আর সেই নিয়েই প্রিয়ঙ্কার দলের বিধায়কের তীব্র সমালোচনা করেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যান মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। কর্নাটকের কংগ্রেস বিধায়কের মন্তব্যকে লজ্জাজনক বলে উল্লেখ করেন স্মৃতি ইরানি। বলেন, “মহিলাদের ক্ষমতায়নের কথা বলার আগে এবং উত্তরপ্রদেশে “লড়কি হুঁ, লড় সকতি হুঁ”-এর মতো স্লোগান দেওয়ার আগে কংগ্রেসের উচিত প্রথমে তাদের নেতাকে সাসপেন্ড করা।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিষয়টি সংসদেও উত্থাপন করেন।
কংগ্রেস বিধায়কের তীব্র সমালোচনা প্রিয়ঙ্কার
এরপরেই কর্নাটকের কংগ্রেস বিধায়কের মন্তব্যের নিন্দা করতে দেখা যায় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদিকা প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে। টুইটারে তিনি লেখেন, “আজ কে আর রমেশ কুমারের বক্তব্যের আমি তীব্র নিন্দা করছি। কেউ কীভাবে এ জাতীয় শব্দ উচ্চারণ করতে পারে… তা বর্ণনাতীত, অবর্ণনীয়। ধর্ষণ একটি জঘন্য অপরাধ। এরপর আর কিছুই বলার থাকে না।”
I wholeheartedly condemn the statement made earlier today by Sri. K.R.Ramesh Kumar. It is inexplicable how anyone can ever utter such words, they are indefensible. Rape is a heinous crime. Full stop.
— Priyanka Gandhi Vadra (@priyankagandhi) December 17, 2021
ঠিক কী হয়েছিল কর্নাটক বিধানসভায়?
কর্ণাটক বিধানসভায় কৃষক ইস্যু নিয়ে আলোচনা চলছিল। সেই সময় বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্বেশ্বর হেগডে বলেন বিধানসভার সকলের জন্য একসঙ্গে সময় বরাদ্দ করলে কীভাবে অধিবেশন চলতে পারে। স্পিকার বলেছিলেন, “আপনারা যা সিদ্ধান্ত নেবেন তাতেই আমি সম্মতি দেব। আমি ভাবছি পরিস্থিতি আমাদের উপভোগ করা উচিৎ। এই হাউজ চালানোই আমার প্রথম অগ্রাধিকার।”
স্পিকারের বক্তব্যের পরই তাঁর উদ্দেশে কংগ্রেস বিধায়ক বলেন, “প্রবাদ আছে, ধর্ষণ যখন অবশ্যম্ভাবী, তখন শুয়ে থেকে উপভোগ করা উচিৎ। আপনার পরিস্থিতি অনেকটা সেই রকমই।” কংগ্রেস বিধায়কের এই বিতর্কিত মন্তব্যের পর আশ্চর্যজনকভাবে বিধানসভা জুড়ে হাসির রোল ওঠে। অনেক বিধায়ককেই এই মন্তব্যে মজা করতে দেখা গিয়েছে।
কিন্তু এরপরই ঘরে বাইরে এই মন্তব্যের জন্য সমালোচনার মুখে পড়েন কংগ্রেস বিধায়ক। বিজেপি নেতা এস প্রকাশ বলেন, “এই মন্তব্য ঘৃণ্য এবং সম্পূর্ণভাবে অসম্মানজনক। এই প্রথম নয়, তিনি যখন বিধানসভার স্পিকার ছিলেন, তখনও তিনি এই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন। আবার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। যে কংগ্রেস বারবার নারী সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে সরব হয়, তাদের দোষীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ।”