ভোটসন্ত্রাস ছড়াতে, অনুব্রতর সঙ্গে চক্রান্ত করে আনা হচ্ছে লোক, অভিযোগ জিতেন্দ্রের, প্রমাণ হলে নাকখত দেবেন, পাল্টা নরেন্দ্রনাথ

 পাণ্ডবেশ্বরে জিতেন-নরেন তরজা নতুন নয়। গত ডিসেম্বরে, জিতেন্দ্র দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেন। তাঁর ক্রমশ 'বেসুরো' হয়ে ওঠাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময়ে নিজের সোশ্য়াল হ্যান্ডেলে নানারকম মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল নরেন্দ্রকে। ঘাসফুল ছেড়ে পুরোপুরি পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়ার পরে কিছুদিন আগে তাঁকে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন জিতেন্দ্র।

ভোটসন্ত্রাস ছড়াতে, অনুব্রতর সঙ্গে চক্রান্ত করে আনা হচ্ছে লোক, অভিযোগ জিতেন্দ্রের, প্রমাণ হলে নাকখত দেবেন, পাল্টা নরেন্দ্রনাথ
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Apr 10, 2021 | 4:23 PM

পশ্চিম বর্ধমান: নবান্ন দখলের লড়াইয়ে জমি ছাড়তে নারাজ শাসক ও বিরোধী শিবির। এ বার ভোট সন্ত্রাস নিয়ে সরাসরি মুখ খুললেন পাণ্ডবেশ্বরের অধুনা বিজেপি (BJP) নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। পাল্টা প্রাণে মেরে ফেলার অভিযোগ তৃণমূল প্রার্থী (TMC) নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর।

বঙ্গ নির্বাচনের চতুর্থ দফার আগে শুক্রবার বিজেপি (BJP) নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির অভিযোগ, পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল প্রার্থী নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ভোটে সন্ত্রাস তৈরি করতে বীরভূম থেকে অস্ত্র আনাচ্ছেন। বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) সঙ্গে ষড় করেই দুষ্কৃতীদের আশ্রয় ও প্রশয় দিচ্ছেন নরেন্দ্রনাথ। তাঁর মদতেই বিজেপির সমস্ত দলীয় কার্যালয় দখল করে নিচ্ছে তৃণমূল এমনটাই অভিযোগ করেন জিতেন্দ্র।

পাণ্ডবেশ্বরের বিদায়ী তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছেন নরেন্দ্রনাথ। তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলছেন জিতেন্দ্র। বিজেপির কোনও কার্যালয় দখল করা হয়নি। যদি ওঁ এটা প্রমাণ করতে পারেন তবে আমি নাকে নাকখত দেব। ওঁ তো আমাকে মিডিয়ার সামনে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। আর কেষ্ট দা দলের সম্পদ। তিনি কোনও অন্যায়ের সঙ্গে আপোস করেন না।’

প্রসঙ্গত, পাণ্ডবেশ্বরে জিতেন-নরেন তরজা নতুন নয়। গত ডিসেম্বরে, জিতেন্দ্র দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেন। তাঁর ক্রমশ ‘বেসুরো’ হয়ে ওঠাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময়ে নিজের সোশ্য়াল হ্যান্ডেলে নানারকম মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল নরেন্দ্রকে। ঘাসফুল ছেড়ে পুরোপুরি পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়ার পরে তাঁকে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন জিতেন্দ্র। এ বার ফের, শুধু নরেন্দ্রনাথকে নয়, দিদির প্রিয় কেষ্টকেও কার্যত কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন জিতেন্দ্র। যদিও, এ নিয়ে বিশেষ ভাবিত নন বীরভূমের ‘নায়ক’। এই অভিযোগের পাল্টা অনুব্রত বলেন, ‘ও তো কুমিরছানা। কাফের একটা। ওর কথা ধরে কী হবে। কয়লা খেয়ে খেয়ে জিতেন্দ্রের নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ইডি সিবিআইয়ের ভয়ে দল ছেড়েছেন। তৃণমূলের বিধায়ক হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নিন্দা করেছেন। ওঁর লজ্জা লাগা দরকার।’

আরও পড়ুন: ‘নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কাজ করছে দলদাস পুলিশ, সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে ভোটে’, বিস্ফোরক অর্জুন