তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতেই মৃত্যু ভাইয়ের, TV9 বাংলাকে বললেন আনন্দ বর্মণের দাদা

নিহত আনন্দ বর্মণের দাদা TV9 বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই খুন করেছে তাঁর ভাইকে।

তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতেই মৃত্যু ভাইয়ের, TV9 বাংলাকে বললেন আনন্দ বর্মণের দাদা
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Apr 14, 2021 | 5:53 PM

কোচবিহার: শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে সে দিন গুলি লেগে মৃত্যু হয়েছিল পাঁচজনের। প্রথমে আনন্দ বর্মণ নামের এক যুবকের মৃত্যু হয় দুষ্কৃতীদের গুলিতে। এরপর কেন্দ্রীয় বাহিনী আত্মরক্ষার স্বার্থে যে গুলি ছুড়েছিল, তাতে মৃত্যু হয় আরও চারজনের। তবে প্রথম মৃত্যু নিয়ে রাজনৈতিক জলঘোলা শুরু হয়েছে বিরাট আকারে। বিজেপি অভিযোগ করেছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক স্বার্থে শুধুমাত্র ওই চারজনকে নিয়ে মাতামাতি করছেন। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী নিজের সভায় নিহত আনন্দের দূর সম্পর্কের আত্মীয়দের হাজির করে সেই রাজনৈতিক চাপানউতোর কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন। এই সবকিছুর মাঝে নিহত আনন্দ বর্মণের দাদা TV9 বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই খুন করেছে তাঁর ভাইকে।

আনন্দ বর্মণের দাদা এ দিন জানিয়েছেন, “আমার ভাই নতুন ভোটার। ১৯ বছর বয়স। সে যখন ভোটের লাইনে ছিল তখন তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ১২-১৩ জন মিলে আমার ভাইয়ের উপর হামলা চালায়। হামলায় মাটিতে পড়ে যাওয়ার পর সে উঠে পালানোর চেষ্টা করে, তখন পঞ্চায়েতের দাদা হাকিম মিঁয়া আমার ভাইকে গুলি মারে। গুলি লাগার পর ভাই মাটিতে পড়ে যায়।”

এরপর যখন ভাইতে তিনি ছুটে যান, তখন তাঁর উপর তিনবার বোমা মারা হয় বলে দাবি। “বোমার আঘাত হাতে-পেটে লেগে। কিছুক্ষণ পর আমি কান্নাকাটি শুরু করে দিই এবং ভাইয়ে তুলে পাশের বাড়িতে নিয়ে যাই,” দাবি আনন্দ বর্মণের দাদার।

এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় আনন্দ বর্মণের পরিবারের দূর সম্পর্কের লোকজন হাজির থাকলেও তাঁদের আদতে জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়ে থাকতে পারে বলে দাবি করেছেন আনন্দর দাদা। তাঁর কথায়, “আমাদের পরিবারের কোনও মানুষকে নিয়ে যাওয়া হয়নি। দাদু গেলেও তিনি আমাদের পরিবারের বিষয়ে কিছুই জানেন না। দাদুকে যদি এখন জোর করে নিয়ে যাওয়া হয় তিনি যেতে বাধ্য হবেন।”

আরও পড়ুন: ‘লাশ নিয়ে রাজনীতি করবেন না, সসম্মানে বিদায় নিন’, শীতলকুচি নিয়ে মমতাকে তোপ বিজেপির

তাঁর আরও সংযোজন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এটা ভাবা উচিত ছিল যে ওদের নিজেদের পরিবার থেকে কেউ এল না। এখন দাদু মামাদের নিয়ে যদি তৃণমূল রাজনীতি শুরু করে, সেদিকে আমরা থাকব না।”

প্রসঙ্গত, জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথে মৃত আনন্দ বর্মণকে প্রথমে নিজের দলের কর্মী বলেই দাবি করতে শোনা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এরপর তিনি দাবি করেন, বিজেপি নিজেই নিজের দলের কর্মীদের খুন করেছে। এ দিন যদিও পুরো ঘটনার নেপথ্যে ফের একবার তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন নিহত আনন্দ বর্মণের দাদা।

আরও পড়ুন: পর্যবেক্ষকদের সঙ্গেও থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী, শীতলকুচি-কাণ্ডের পর পদক্ষেপ কমিশনের