অবিলম্বে সরাতে হবে সমস্ত সরকারি বিজ্ঞাপনের ছবি, নির্দেশ কমিশনের
এ দিন বিবিধ অভিযোগ নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। তার পরই কমিশন (Election Commission Of India) জানিয়ে দেয়, নিয়মানুযায়ী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত বিজ্ঞাপন সরিয়ে ফেলতে হয়। ইতিমধ্যেই ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে, ফলে অবিলম্বে নির্দেশ কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
কলকাতা: নির্বাচনের (Assembly Election 2021) নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছে। ফলে কার্যকর হয়ে গিয়েছে আদর্শ আচরণবিধিও (Model Code Of Conduct)। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিভিন্ন পেট্রল পাম্পে এখনও দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি (Government Advertisement)। এমনকি, প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে কোভিড ভ্যাকিসিনেশন সার্টিফিকেটেও। যা নিয়ে এ দিন সকালেই নির্বাচন কমিশনে (Election Commission Of India) অভিযোগ জানিয়েছিল তৃণমূল। রাতের আগেই শাসকদলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন।
এ দিন নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, সরকারি প্রকল্পের কোনও প্রচার আর করা যাবে না। অবিলম্বে তা মুছে ফেলতে হবে। কোনও রাজনৈতিক দল যদি তার প্রচার করে তাহলে তা ব্যক্তিগত গণ্ডির মধ্যে করতে হবে। সেটার জন্যও অবশ্য অনুমতি নিতে হবে। নির্বাচন নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সরকারি প্রকল্পের বিজ্ঞাপন মুছে ফেলার নির্দেশ রয়েছে কমিশনের। তবে কিছু ক্ষেত্রে সেই নির্দেশ কার্যকর করা হচ্ছিল না। যা নিয়ে অভিযোগ জানানোর পর বুধবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানায় কমিশন।
প্রসঙ্গত, এ দিন সরকারি বিজ্ঞাপনে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহারের বিরোধিতা করে কমিশনের দ্বারস্থ হন ফিরহাদ হাকিম। অভিযোগ করেন, নির্বাচনকালে এই ধরনের প্রচার ভোটারদের প্রভাবিত করতে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়াও নালিশ করা হয় কৈলাস বিজয়বর্গীয়র নামেও। তৃণমূল নেতা জানান, ভোটের মুখে কীর্তনশিল্পীদের ভাতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যা আদতে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেছে করেছে বলে অভিযোগ করা হয়।
আরও পড়ুন: শুভেন্দু, রাজীব, শ্রাবন্তী, রুদ্রনীল…. দেখে নিন বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা
এহেন বিবিধ অভিযোগ নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। তার পরই কমিশন জানিয়ে দেয়, নিয়মানুযায়ী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত বিজ্ঞাপন সরিয়ে ফেলতে হয়। ইতিমধ্যেই ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে, ফলে অবিলম্বে নির্দেশ কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: উত্তর-দক্ষিণে যুযুধান: রবিবার ব্রিগেডে মোদী, মমতা নামছেন শিলিগুড়ির পথে