ওন্দা, বাঁকুড়া: বিজেপি টাকা দিয়ে ভোট পাওয়ার চেষ্টা করছে, এমন অভিযোগ আগেও তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বার বার বলেছেন, ‘টাকা দিয়ে নিয়ে নেবেন, কারণ ওটা আপনার টাকা। কিন্তু ভোটটা দেবেন না।’ এবার বিষ্ণুপুরের সভা থেকে মমতার দাবি, টাকা দেওয়ার বিষয়টি হাতে-নাতে ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কার স্বরূপ চাকরি দেবেন তিনি।
বুধবার বাঁকুড়ার ওন্দার জনসভা থেকে এই বার্তা দেন মমতা। এক দিকে ভোটের পর কাউন্টিং মেশিন পাহারা দেওয়ার কথা বলেন তিনি। এমনকি পুলিশের ওপরও ভরসা না করতে বলেন নেত্রী। কারণ তাঁর বক্তব্য উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা পুলিশের ওপর কোনও কোনও ভরসা নেই, উত্তরপ্রদেশের পুলিশ বিজেপির হয়ে কাজ করতে পারে বলেই তাঁর সন্দেহ। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘কেন পুলিশ কেন্দ্রের অধীনে থাকবে? যে পাঁচ রাজ্যে ভোট সেই পাঁচ রাজ্যের পুলিশ কেন নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে না?’
মমতা আরও বলেন, পুলিশকে দিয়ে এলাকায় এলাকায় ঢুকে টাকা ছড়ানো হচ্ছে। নাকা চেকিং হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সাধারণ মানুষকে মমতা বলেন, “মা, ভাই-বোনেরা নজর রাখবেন। যদি কেউ ধরিয়ে দিতে পারেন, একটা পুরস্কার, একটা চাকরি।” রাতের অন্ধকারে বা দিনের বেলায় টাকা বিলোচ্ছে, ধরিয়ে দিতে পারলেই এই পুরস্কার দেবেন তিনি। তাঁর পরামর্শ, “যদি কেউ এসে বলে খরচা দেব নিয়ে নে, তাহলে তাঁকে বলতে হবে খরচা দে কিন্তু তোকে এবার খরচ করে দেব।”
আরও পড়ুন: ‘টাকা লুকনোর জন্য বিজেপিতে! যাও, গেট আউট’, শুভেন্দুকে তোপ মমতার
আবারও একবার তিনি মনে করিয়ে দেন টাকাটা ওদের টাকা নয়, “টাকাটা নোটবন্দীর টাকা, টাকাটা পিএম কেয়ারের, টাকাটা ব্যাঙ্ক বিক্রির টাকা, টাকাটা রেল বিক্রির টাকা, বিএসএনএল বিক্রির টাকা।” পদ্ম শিবিরের সপ্তম বেতন কমিশন গঠন করার প্রতিশ্রুতি নিয়েও এ দিন প্রতিক্রিয়া দেন তৃণমূল নেত্রী। সেই প্রসঙ্গে মমতা ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের উদাহরণ তুলে ধরেন তিনি। বলেন, ত্রিপুরায় কোনও প্রতিশ্রুতিও রাখা হয়নি। গ্রুপ ডি পদেরও বেসরকারিকরণ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তাই রাজ্য সরকারি কর্মীদের সাবধান করেন তিনি।