নন্দীগ্রাম-কাণ্ড: হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়ে শেখ সুফিয়ানকে রক্ষাকবচ সুপ্রিম কোর্টের
শেখ সুফিয়ান (Sk Supian) নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্বাচনি এজেন্ট
নয়া দিল্লি: ভোটের মুখে শীর্ষ আদালতে স্বস্তি মিলল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনি এজেন্ট শেখ সুফিয়ানের। গ্রেফতারি এড়াতে হাইকোর্টের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শেখ সুফিয়ান। আর সেই মামলাতেই রক্ষাকবচ মিলল তাঁর।
২০০৭-০৯ সালে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের ঘটনায় এফআইআরে নাম রয়েছে শেখ সুফিয়ানের। ২০২০-তে সেই এফআইআর তুলে নেয় রাজ্য সরকার। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের একটি নির্দেশে সেই নতুন করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। সেই গ্রেফতারি এড়াতে সুপ্রিম কোর্টে যান শেখ সুফিয়ান। আবেদনে জানান, নতুন করে মামলার খাতা খোলায় নির্বাচনি এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারছেন না তিনি।
শুক্রবার বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারির বেঞ্চ হাইকোর্টের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। তবে হাইকোর্টই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতিরা। এই স্থগিতাদেশ দেওয়ায় নির্বাচনের কাজ করতে স্বাভাবিকভাবে করতে পারবেন শেখ সুফিয়ান।
২০২০-তে শেখ সুফিয়ানের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা তুলে নেওয়া হয়। এরপর গত ৫ মার্চ একটি জনস্বার্থ মামলা হয়। নতুন করে সেই মামলা শুরু করার আবেদন জানানো হয়। তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া এফআইআর নতুন করে কার্যকর করার নির্দেশ দেয় আদালত। সুফিয়ান সুপ্রিম কোর্টে তাঁর আবেদনে জানান রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এই মামলা।
আরও পড়ুন: অতীতের ‘কালা’ বুথে এবার ওয়েব কাস্টিং, নামানো হচ্ছে তিন গুণ ক্যুইক রেসপন্স টিম
রাজ্য সরকারের পক্ষে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বেন, সরকার এফআইআর তুলে নেওয়ার পর জনস্বার্থ মামলায় সেই মামলা শুরু করা যায় না। আইনজীবী মুকুল রোহতাগি হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের পক্ষে বলেন, খুন ও অপহরণের মামলা রয়েছে। সব কটি মামলায় পলাতক তিনি। এ ক্ষেত্রে মামলা বন্ধ করা হলে খুনের আসামীকে ছাড় দেওয়া হবে। কীভাবে এই মামলা তুলে নেওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তিনি বলেন, ভোট মানেই কী সব গুণ্ডাদের ছাড় দেওয়া?