হিংসা রুখতে পঞ্চম দফা ভোটের আগে নয়া সিদ্ধান্ত কমিশনের
চতুর্থ দফা ভোটের দিন শীতলকুচির অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির পর রবিবার সেখানে রওনা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু এদিনই নির্বাচন কমিশন (Election Commission) বদল করল বিধি।
কলকাতা: চতুর্থ দফা ভোটের দিন শীতলকুচির অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির পর রবিবার সেখানে রওনা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু এদিনই নির্বাচন কমিশন (Election Commission) জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টা কোচবিহারে কোনও রাজনৈতিক নেতা যেতে পারবেন না। সেই সঙ্গে পঞ্চম দফা ভোটের আগেও নয়া বিধি লাগু করল কমিশন। এবার ভোটের ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিন আগে প্রচার বন্ধ রাখতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে। হিংসাবিহীন ভোট করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।
এদিন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ৯ বিধানসভা কেন্দ্রে কোনও নেতা ঢুকতে পারবেন না। এই প্রেক্ষিতে পঞ্চম দফা ভোট বিধিতেও এল বদল। বলা হয়েছে কোনও রাজনৈতিক দল বা দলের প্রতিনিধি পঞ্চম দফা ভোটের ৭২ ঘণ্টা আগে কোনও নির্বাচনী প্রচার করতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, শীতলকুচি কাণ্ডে পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উগরে দিয়েছে তৃণমূল ও বিজেপি শিবির। কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির নির্দেশে কাজ করছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ এর জন্য সরাসরি দায়ী জনসভায় মমতাকে। নির্বাচনী সভা থেকে মমতার মন্তব্য ভোটারদের প্রভাবিত করছে এবং হিংসা ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে গেরুয়া শিবির।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক নেতাদের কোচবিহার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা কমিশনের, রবিবারই যাওয়ার কথা ছিল মমতার
অন্যদিকে তৃণমূলও আঙুল তুলেছে, এক প্রান্তে যখন ভোটগ্রহণ চলছে, তখন রাজ্যের আর এক জায়গায় সভা করছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এই প্রেক্ষিতে কমিশন সাফ জানাল কোনও রাজনৈতিক দলই ভোটের তিন দিন আগে কোনও নির্বাচনী প্রচার করতে পারবে না।