AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘আমি একটা গাধা, বুঝতেই পারিনি…’

অধিকারী গড়ে (West Bengal Assembly Election 2021) দাঁড়িয়ে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee In Purbo Medinipur)।

'আমি একটা গাধা, বুঝতেই পারিনি...'
ছবি- পিটিআই
| Updated on: Mar 21, 2021 | 2:00 PM
Share

পূর্ব মেদিনীপুর: ‘আমি একটা বড় গাধা জানেন তো’। অধিকারী গড়ে (West Bengal Assembly Election 2021) দাঁড়িয়ে ‘গদ্দার’দের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে গিয়ে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee In Purbo Medinipur)।

এগরার সভামঞ্চ থেকে অধিকারী পরিবারকে চাঁচাছোলা ভাষায় বিঁধেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ তুলেই একের পর এক বাণ ছুড়েছেন তিনি। সভামঞ্চ থেকেই তাঁর গলায় শোনা গিয়েছে আত্মসমালোচনার সুরও। মমতা বললেন, “নির্বাচনের সময় দেখবেন, কাউকে ৫০০ টাকা, কাউকে ১,০০০ টাকা দিচ্ছে। গদ্দারদের অনেক টাকা তো। করে খেয়েছে, আমি বুঝতে পারিনি। আমি একটা বড় গাধা জানেন তো। আমি নিজেই নিজেকে গাধা বলছি, কারণ আমি বুঝতেই পারিনি ওদের এত গুণ। লুঠ-দাঙ্গা-মানুষ ওদের এত গুণ আমি বুঝতে পারিনি।”

হাইভোল্টেজ নির্বাচনের এপিসেন্টার নন্দীগ্রাম। রাজনীতির ভার্টিক্যাল ট্রেন্ডিংয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জার্সি বদল না করলেও মনেপ্রাণে যে তিনি পদ্মেই রয়েছেন, তা স্পষ্ট করলেন শিশির অধিকারী। পুত্র শুভেন্দু অবশ্য আজ নন্দীগ্রামেরই বিজেপি প্রার্থী। অধিকারী গড়ে বদলে গিয়েছে রাজনৈতিক সমীকরণ। এককালে এই অধিকারী পরিবারের ওপরই আস্থা করে মমতা ছেড়ে দিয়েছিলেন গোটা নন্দীগ্রাম তথা পূর্ব মেদিনীপুরের সংগঠনের দায়িত্ব। আজ, সেই ‘ভুলে’র মাশুল গুনছেন নেত্রী, এদিন এগরায় তাঁর বলা প্রত্যেকটি কথায় উঠে এল সেই ভুলে আত্মসমালোচনার সুর।

নাম না করে অধিকারী পরিবারকে তোপ দেগে মমতা বলেন, ” আমাকে আগে কাঁথিতে মিটিং করতে দেওয়া হত না, এগরায় মিটিং করতে দেওয়া হত না। আগে একজনের জমিদারি ছিল। যাঁরা ওদের কথা শুনবে তাঁরাই থাকবে, যাঁরা শুনবে না, থাকবে না, এটাই ছিল নিয়ম। এখন আর এসব চলবে না। ”

ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পূর্ব মেদিনীপুর এক সময়ে কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল হিসাবে পরিগণিত হয়েছে। নির্ভেদ রায়কে পছন্দ নয়, হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমএলএ সুদর্শন ঘোষ দস্তিদারকে এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। মধুরিমা জেলা পরিষদের সভাধিপতিকেও হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। যারা ওদের কথা শুনবে, তারাই থাকবে। যারা শুনবে না, থাকবে না। কাজ করে নিজেদের নামে বোর্ড লাগিয়েছে। ”

কাজের খতিয়ানের পাশাপাশি ক্ষমতায় এলে কী কী করা হবে, আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারের সেই রুটিনমাফিক বিষয়টিও তুলে ধরেন নেত্রী। কিন্ত তাঁর বক্তব্যের সিংহভাগই ছিল অধিকারী পরিবার প্রসঙ্গ। প্রত্যেক কথাতেই বিঁধেছেন তাঁদের, তবে নাম না করে।

মমতা বলেন, “পালিয়ে গিয়েছে যাঁরা গদ্দারি করে, তারা কত নিয়েছে জিজ্ঞাসা করুন। নরেন্দ্র মোদী, আপনার গদ্দাররা চোরের সর্দার। ওরা গেল না এল, তাতে কিছু এসে যায় না। ওই মির্জাফরের দল হাত ধরে বিজেপি-কে নিয়ে এসেছে। এদের থেকে বড় গদ্দার আর কেউ হতে পারে না। এদের হাত থেকে মেদিনীপুরকে মুক্ত করতে হবে।”

আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে বড় ঘটনা, করোনার টিকা নেওয়ার পরই মৃত্যু মহিলার

বিজেপিকে তোপ দেগে মমতা বলেন, “ভোট দিন গদ্দারদের বিরুদ্ধে, মির্জাফরদের বিরুদ্ধে। বিজেপি একটা ডাকাত পার্টি, সিপিএমের হার্মাদ আর আমাদের কিছু গদ্দাররা জুটেছে। ” এদিন মমতার পূর্ব মেদিনীপুরেই আরও দুটি সভা রয়েছে।