‘দিদির চিঠিই বলে দিচ্ছে তৃণমূল যাচ্ছে’, অনুব্রত গড় থেকে কটাক্ষ স্মৃতির

তৃতীয় দফা ভোটের দিন বীরভূমের সভা থেকে তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani)। তাঁর কথায়, "দিদি যেভাবে প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে চিঠি লিখে লিখে বলছেন তাতেই নিশ্চিত যে তৃণমূল সরকার যাচ্ছে।''

'দিদির চিঠিই বলে দিচ্ছে তৃণমূল যাচ্ছে', অনুব্রত গড় থেকে কটাক্ষ স্মৃতির
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Apr 06, 2021 | 3:28 PM

বীরভূম: ভোটের মধ্যেই বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের ডাক দিয়ে সনিয়া গান্ধী সহ ১৪ রাজনৈতিক দলের নেতাকে চিঠি দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তা নিয়েই তৃতীয় দফা ভোটের দিন বীরভূমের সভা থেকে তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani)। তাঁর কথায়, “দিদি যেভাবে প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে চিঠি লিখে লিখে বলছেন তাতেই নিশ্চিত যে তৃণমূল সরকার যাচ্ছে।”

মঙ্গলবার বীরভূমের চার বিধানসভা কেন্দ্র সিউড়ি, দুবরাজপুর, ময়ূরেশ্বর এবং সাঁইথিয়ার বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়া উপলক্ষে সিউড়িতে পা রাখেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তীব্রভাবে নিশানা করেন তৃণমূল সরকারকে। সেই সঙ্গে স্মৃতির এও দাবি, একুশের ভোটেই (West Bengal Assembly Election 2021) বাংলায় তৃণমূল (TMC) কে সরিয়ে ক্ষমতায় আসছে বিজেপি (BJP)। স্মৃতি বলেন, ‘তৃণমূল যাচ্ছে এবং বাংলায় বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।’

এদিন প্রথমে হেলিকপ্টারে সিউড়ি বেণীমাধব স্কুল ময়দানে অবতরণ করেন। তার পর রোড-শোয়ের মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য জেলাশাসকের দফতরের দিকে রওনা হন স্মৃতি। তবে তার আগে দলীয় কর্মী সমর্থকদের চাঙ্গা করার জন্য বেণীমাধব মোড়ে ছোট করে বক্তব্য পেশ করেন তিনি। সেখানেই কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন দাবি, ‘বাংলা থেকে তৃণমূল যাচ্ছে, বিজেপি আসছে।’ পাশাপাশি এদিন তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে বিগত পঞ্চায়েত ভোটের পরিবেশের কথায়। তৃণমূল সরকারকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, “বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বীরভূমের তৃণমূল গুন্ডারা যেভাবে সাধারণ মানুষকে তাঁদের সাংবিধানিক অধিকার, ভোটদান থেকে বিরত করেছিল তা আর এবার হবে না। এবার বুথে বুথে থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।”

আরও পড়ুন: ভরসন্ধ্যায় মমতার সঙ্গে ফোনালাপ রাজ্যপালের, কী কথা হল দু’জনের?

যদিও তৃতীয় দফা ভোটের দিনও কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি উত্তরবঙ্গের সভা থেকে অভিযোগ করেছেন যে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে ভোট দিতে জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এও অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় বাহিনী দায়িত্বে থাকার সত্ত্বেও কীভাবে ভোটের মধ্যে হিংসা ছড়াচ্ছে? তাঁদের চার কর্মী খুন হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। এদিকে অনুব্রত প্রধানের গড়ে দাঁড়িয়ে দুবরাজপুর ব্লকের লোবা গ্রাম পঞ্চায়েতের ফকিরবেড়া গ্রামের এক বিজেপি কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে শাসক দলের দিকে আঙুল তোলেন স্মৃতি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, “যারা আমাদের কর্মীদের রক্ত নিয়ে খেলা করছে বিজেপি সরকার আসার পরে তাদের সবাইকে জেলে যেতে হবে।”