AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘টাকার বদলে প্রার্থী ঠিক হয়েছে’, ক্ষোভে দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর, রণক্ষেত্র জলপাইগুড়িতে নামল র‍্যাফ

জলপাইগুড়ির সদর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হয় আইনজীবী সৌজিৎ সিনহার নাম। এরপরই প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীদের একাংশ।

'টাকার বদলে প্রার্থী ঠিক হয়েছে', ক্ষোভে দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর, রণক্ষেত্র জলপাইগুড়িতে নামল র‍্যাফ
বিজেপি কার্যালয়ের সামনে এভাবেই চলছে বিক্ষোভ। জলপাইগুড়ি সদরে।
| Updated on: Mar 18, 2021 | 7:41 PM
Share

জলপাইগুড়ি: পছন্দসই প্রার্থী দেয়নি দল। অভিযোগ, রাগে জলপাইগুড়ির দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় বিজেপি কর্মীদেরই একাংশ। আগুন ধরিয়ে চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় র‍্যাফ। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে পৌঁছন ডিএসপি সমীর পাল। বিক্ষোভকারী বিজেপি কর্মীদের দাবি, টাকার বিনিময়ে জলপাইগুড়ি বিধানসভা আসন তৃণমূলের হাতে তুলে দিয়েছেন জেলা নেতৃত্ব।

জলপাইগুড়ির সদর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হয় আইনজীবী সৌজিৎ সিনহার নাম। এরপরই প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীদের একাংশ। উত্তাল হয়ে ওঠে শহর। ডিভিসি রোড এলাকায় বিজেপির যে দলীয় কার্যালয়, সেখানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগেরও অভিযোগ ওঠে।

আরও পড়ুন: কর্নেল দীপ্তাংশুকে প্রার্থী করতেই অসন্তোষের আগুন, ‘ও তো দলবদলু’ বলছেন আদি বিজেপিরা

বিজেপি নেতা কানন রায়ের অভিযোগ, “পুরনো বিজেপি নেতা কর্মীদের প্রার্থী না করে নতুন একজন‌কে প্রার্থী করা হয়েছে। এমনটা কিছুতেই মেনে নেব না আমরা। আমরা চাইছি আমাদের পুরনো নেতা দীপেন প্রামাণিক‌কে জলপাইগুড়ি সদর বিধান‌সভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হোক। তা না হলে লাগাতার আন্দোলন করব আমরা।”

ঘটনায় বিজেপি কিসান মোর্চার প্রাক্তন জেলা সভাপতি নবেন্দু সরকার বলেন, “জলপাইগুড়ি শহরে নতুন একটি সিমেন্ট কারখানা থেকে কোটি টাকা নিয়ে এই আসনকে তৃণমূলের হাতে বিক্রি করে দিয়েছেন বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী।” যদিও বিজেপি মহিলা মোর্চার জেলা সভাপতি টিনা গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, “সৌজিৎ প্রার্থী হিসাবে মন্দ নন। তবে আমাদের দাবি দীপেন প্রামাণিককে জেলার যে কোনও একটি আসনে প্রার্থী করা হোক।” যদিও যাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ সেই বাপি গোস্বামীর সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এই ব্যাপারে আমি কোনও প্রতিক্রিয়া দেব না। যা বলার রাজ্য নেতৃত্ব বলবে।”