কলকাতা: রক্তের দাগ কিন্তু গঙ্গাজলে ধুলেও মুছবে না। এই ভাষাতেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে সতর্ক করেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্যে ভোট-আবহে যত হিংসার ঘটনা ঘটছে, তার সব দায় যে কমিশনারের সে কথা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। আর শনিবার ভোটের সকাল থেকেই শিরোনামে অশান্তির খবর, কিন্তু কমিশনে দেখা ছিল না কমিশনারের। কন্ট্রোল রুমে একের পর এক ফোন আসছে। নাজেহাল অবস্থা কমিশনের আধিকারিকদের। ভোট শুরু হওয়ার প্রায় ৩ ঘণ্টা পর কমিশনে পৌঁছন রাজীব সিনহা।
সূত্রের খবর, রাত থেকে কমিশনের কন্ট্রোল রুমে রয়েছেন ১০ জন আধিকারিক। রাত থেকে যেভাবে একের পর এক ফোন এসেছে, তা সামলাতে কার্যত হিমসিম খেতে হয়েছে তাঁদের। অনেকেই ফোন করে জানতে চেয়েছেন, কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী?
সকাল হতেই ফোনের বহর বেড়েছে আরও। মুহর্মুহ ফোন আসছে। কমিশনের পদক্ষেপ কোথায়? প্রশ্ন করছেন সাধারণ ভোটাররা। ফোন আসছে রাজনৈতিক কর্মীদেরও। কেন বসতে দেওয়া হল না? প্রশ্ন করছেন বিরোধী দলের পোলিং এজেন্টরা। আধিকারিকরা উত্তর দিয়ে চলেছেন। তাঁরা অনেককেই বলেছেন, আপনারা থানায় যান, পুলিশকে জানান।
শুক্রবার রাত থেকেই অশান্তির খবর সামনে আসছে। একের পর এক মৃত্যু, গুলি, বোমাবাজিতে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে গোটা বাংলা। এদিন সকালেই রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস রাজভবন থেকে বেরিয়ে পড়েছেন।
সরাসরি পঞ্চায়েত ভোটের সব খবর এই লিঙ্কে: বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচন, ২০২৩