বর্ধমান: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই দিকে দিকে অশান্তির অভিযোগ। আর এরই মধ্যে তৃণমূলের পার্টি অফিসে হামলার অভিযোগ। ঘটনাস্থল বর্ধমান। বর্ধমান শহরের তৃণমূলের এক দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা এই তাণ্ডব চালিয়েছে শাসক দলের পার্টি অফিসে। আজ সকালে দেখা যায়, তছনছ অবস্থা তৃণমূলের পার্টি অফিসের। জানালার কাচ ভাঙা। লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে রয়েছে ভিতরের সব কিছু। কাচের গুড়োয় ভর্তি মেঝে। এমনকী পার্টি অফিসের মিটার বক্সটিও ভাঙচুর হয়েছে।
শুধু তাই নয়, তৃণমূলের ওই দলীয় কার্যালয়ের পাশে একটি খাবারের দোকান ছিল। সেই দোকানের যা অবস্থা, তা দেখে বোঝার উপায় নেই, গতকাল পর্যন্তও সেটি একটি খাবারের দোকান ছিল। ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছে দোকান দেওয়াল। গাঁথনির ইটগুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। গোটা দোকানটা যেন একটা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। যদিও কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বিষয়টি নিয়ে বর্ধমান থানায় অভিযোগ জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
তৃণমূল নেতা আব্দুল রবের সন্দেহ, এই ঘটনার পিছনে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির হাত থাকতে পারে। বললেন, ‘এর পিছনে নিশ্চয়ই কোনও মদত আছে। কোনও প্রভাবশালীর মদত আছে কি না, সেটি আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।’ তবে যারা রাতের অন্ধকারে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তারা কাপুরুষের মতো কাজ করেছে বলেই মনে করছেন তিনি। যদিও প্রভাবশালী হিসেবে কাকে ইঙ্গিত করতে চাইছেন, সেই বিষয়টি স্পষ্ট করতে চাননি তিনি। তাহলে কি দলের কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব? প্রশ্ন করায় বললেন, ‘হতে পারে, কারও মদত থাকতে পারে। কেউ কেউ চাইছিলেন না এখানে পার্টি অফিস থাকুক।’
এদিকে গতরাতের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের তত্ত্বই উস্কে দিচ্ছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র। তাঁর বক্তব্য, ওই পার্টি অফিসে এর আগেও হামলা হয়েছিল। যদিও এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। বললেন, যে কোনও রাজনৈতিক দলের পার্টি অফিস ভাঙচুরই নিন্দাজনক। এটা আমরা সমর্থন করি না। এটা ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফসল।’