
‘দাবাং’ ছবির পরিচালক অভিনব কাশ্যপ একটা সাক্ষাত্কারে বলেছেন যে, সলমন খান একবার শুটিং সেটে একটি স্টান্ট করতে ভয় পেয়েছিলেন। কারণটা বেশ অদ্ভুত। সেখানে অনেক দর্শক ছিলেন, তাই সলমন চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। সলমন নাকি চাননি, তিনি পিছলে পড়ে গেলে, সেটা সবাই দেখুন আর হাসুন!
সলমন খানের প্রতি নিজের বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করতে গিয়ে পরিচালক অভিনব কাশ্যপ বলেন, নায়ক একবার একটি স্টান্ট শুট করতে রাজি হননি, যেখানে তাঁকে কাদা মাখা জমির উপর দিয়ে দৌড়ে যেতে হত। তিনি ভয় পেয়েছিলেন যে হয়তো পিছলে পড়বেন, আর সেটে যাঁরা জড়ো হয়ে শুট দেখছিলেন, তাঁরা হাসবেন। অভিনব আরও জানান, সলমন খানের চোখের নীচের ফোলা অংশ লুকানোর জন্য শুধু ভিএফএক্স-এ লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল। এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক এটাও বলেন, সলমন টাকা দিতে দেরি করায় তিনি ছবির শুটিংয়ের সময় বড় অঙ্কের দেনায় পড়ে যান। তিনি সলমন ও তাঁর পরিবারকে ‘অপরাধী’ বলেও আখ্যা দেন।
যখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, সলমন কি নিজের প্রাইভেট জিম সেটে নিয়ে আসতেন? তখন অভিনব হেসে বলেন, “একেবারেই না। শটের আগে নিজেকে পাম্প আপ করতে ও মেদ লুকাতে শুধু পুশ-আপ দেন। উনি খুব ফিট মানুষ নন। তাঁর চোখের নীচের ফোলা ছিল, অন্তত ‘দাবাং’-এর সময় ছিল। তাঁর মুখ ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিষ্কার করতে ৮ লাখ টাকার ভিএফএক্স বিল হয়েছিল। আমি পরে শুনেছিলাম, কয়েকটি ছবিতে নাকি ওর পেটের পেশী নকল ছিল। ‘দাবাং’-এর সময় ওর মুখে ডিজিটাল পদ্ধতিতে কাজ করতে হয়েছিল।”
সলমন খান সম্পর্কে এসব কথা পরিচালক বললেও, নায়কের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। পরিচালকের এমন দাবির কতটা সত্যি তা নিয়ে আবার সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রশ্ন তুলেছেন নায়কের কিছু অনুরাগী। এ কথা ঠিক, বয়সের সঙ্গে-সঙ্গে সলমনের চেহারা যে কিছুটা ভেঙেছে, তা এখন তাঁকে দেখলেই বোঝা যায়।