সলমনের খান যে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের পরবর্তী নিশানা এ কথা এত দিনে সবাই জেনে ফেলেছেন। এরই মধ্য়ে প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। মুম্বই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে সলমনকে খুন করার জন্য ২৫ লক্ষ টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছিল। চার্জশিটে রয়েছে পাঁচ জনের নাম। তাঁরা বিষ্ণোই গ্যাংয়র সদস্য সে কথা জানানো হয়েছে মুম্বই পুলিশের তরফে। যে দল চলে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নেতৃত্বে। পাকিস্তান থেকে ভয়ঙ্কর সব অস্ত্র যেমন AK 47, AK 92, এবং M 16 কেনার পরিকল্পনা চলছিল বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে। এই বন্দুক দিয়েই খুন করা হয়েছিল পঞ্জাবী গায়ক সিধু মুসেওয়ালাকে। ১৮ বছরের কম একটি কিশোরকে যুক্ত করা হয়েছিল। যাকে সুপারি দেওয়া হয়েছিল সলমনকে খুন করার জন্য। পুলিশ সূত্রে খবর এরা সবাই লুকিয়ে রয়েছে পুনে, রায়গড়, নভি মুম্বই,থানে, গুজরাতের বিভিন্ন এলাকায়। প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন মিলে সলমনের প্রতিটি পদক্ষেপ অনুসরণ করছে। তাঁর বান্দ্রার বাড়ি থেকে পানভেলের খামারবাড়ি সর্বত্র নজরদারি রাখছে এই দল।
কংগ্রেস নেতা বাবা সিদ্দিকীর খুনের ঘটনার পরেই উঠে আসছে এমন অনেক তথ্য। ঘনিষ্ঠ সূত্র জানাচ্ছে, এতদিন এ নিয়ে বিচলিত না হলেও সম্প্রতি বাবা সিদ্দিকীর মৃত্যুতে ভিতর থেকে ভেঙে পড়েছেন সলমন খান। মিটিং বাতিল করেছেন। বাইরের কারও সঙ্গে দেখাও করছেন না। মানসিক ভাবেই বিধস্ত তিনি। এখানেই শেষ নয়। বাড়াবো হয়েছে তাঁর নিরাপত্তাও। সলমনের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টটি ঘিরে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার বলয়ে। ফ্ল্যাটের বাইরে বসেছে সিআরপিএফ। থাকছে ওয়াই প্লাস নিরাপত্তা। সঙ্গে থাকবেন সব রকম অস্ত্র চালাতে সক্ষম দুই কনস্টেবল। এ ছাড়া তাঁর বাড়ির বাইরে থাকছে স্পেশ্যাল রিসার্ভ পুলিশ ফোর্স, অর্থাৎ এসআরপিএফ।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় চিঙ্কারা ও কৃষ্ণসার মৃগ হত্যা করার অভিযোগ ওঠে সলমন খানের বিরুদ্ধে। তাঁকে জেলেও যেতে হয়। কৃষ্ণসার মৃগ বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের পুজিত। এরপর থেকেই সলমনকে বারেবারে খুনের হুমকি দিচ্ছে জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা।