‘নিজেকে খুবই ব্যর্থ…’, মেয়ের কঠিন সময় কীভাবে পাশে দাঁড়ান আমির

ইরা জানান, কীভাবে ‘আগাতসু’ (Agatsu) নামে মানসিক স্বাস্থ্য সংস্থা শুরুর আগে তিনি নিজেকে অর্থহীন, ব্যর্থ এবং অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করতেন।

নিজেকে খুবই ব্যর্থ..., মেয়ের কঠিন সময় কীভাবে পাশে দাঁড়ান আমির

| Edited By: জয়িতা চন্দ্র

Apr 27, 2025 | 3:38 PM

মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বারবার মুখ খুলেছেন ইরা খান, বলিউড অভিনেতা আমির খান ও রীনা দত্তর মেয়ে আবারও চর্চায়। এবার এক সাক্ষাৎকারে নিজেকে নিয়ে গভীর অনিশ্চয়তা, অপরাধবোধের কথা শেয়ার করলেন ইরা। তাঁর এই যন্ত্রণার কথা শোনার পর দর্শকদের মনে জায়গা করেছে বাবা-মেয়ের আবেগঘন মুহূর্ত।সম্প্রতি পিংকভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আমির ও ইরা একসঙ্গে হাজির হন। সেখানেই ইরা জানান, কীভাবে ‘আগাতসু’ (Agatsu) নামে মানসিক স্বাস্থ্য সংস্থা শুরুর আগে তিনি নিজেকে অর্থহীন, ব্যর্থ এবং অপ্রয়োজনীয় মনে করতেন।

ইরা বলেন, “আমি ২৬-২৭ বছর বয়সী। আমার মা-বাবা আমার জন্য অনেক টাকা খরচ করেছেন। আর আমি? আমি কিছুই করছি না। কোনও অর্থ উপার্জন করছি না, কোনও গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ করছি না। তখন নিজেকে খুবই ব্যর্থ মনে হতো।” মেয়ের এই আত্মগ্লানির মুহূর্তে পাশে দাঁড়ান আমির খান। তিনি খোলসা করে বলেন, “ওর এ কথা বলার অর্থ, ও তখন উপার্জন করছিল না। কিন্তু পরে ও যখন আগাতসু শুরু করল, তখন জীবন বদলাতে শুরু করল। আমার কাছে টাকাটা গুরুত্বপূর্ণ নয়—কাজটা গুরুত্বপূর্ণ।”

আমির আরও বলেন, “টাকা তো একটা কাগজ মাত্র, যেটাকে সবাই মিলে একটা মান দিয়েছি। আসল মূল্য তো মানুষের সঙ্গে সংযোগ, সহানুভূতি, এবং আপনি কীভাবে অন্যের জীবনে পরিবর্তন আনতে পারেন, সেটাতেই।”

এই কথোপকথনের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট যে ইরার জীবনের কঠিন অধ্যায়ে তাঁর পাশে ছায়ার মতো থেকেছেন আমির খান। আর তাঁর আত্মবিশ্বাসই ইরাকে উৎসাহ জুগিয়েছে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সমাজে পরিবর্তন আনার কাজে। আজ, ‘আগাতসু’-র মাধ্যমে ইরা শুধু নিজের নয়, অনেকের জীবনে আলো এনেছেন। আর সেই পথচলার পেছনে রয়েছেন এক বাবা, যিনি সবসময় মেয়েকে বোঝার চেষ্টা করেছেন—স্টার হিসেবে নন, একজন প্রকৃত অভিভাবক হিসেবে।