অবশেষে পূর্ণতা পেল সাংসদ রাঘব চাড্ডা ও পরিণীতি চোপড়ার প্রেম। তাঁদের নিয়ে তৈরি হওয়া সব গুঞ্জনকে এবার স্বীকৃতি দিলেন রাঘব-পরিণীতি। সুদর্শন সাংসদেই মন মজেছিল ‘পেয়ারি বিন্দু’-এর। এবার তাঁর আঙুলে আঙটি পরিয়েই শুরু করলেন নতুন পথ চলা। নিউ দিল্লির কাপুরথালা হাউসে সম্পন্ন হল বাগদান অনুষ্ঠান। হাজির ছিলেন দিদি প্রিয়াঙ্কা চোপড়া সহ বহু বিশিষ্ট জনেরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় বাগদানের ছবি শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী।শেয়ার করে পরিণীতি লেখেন, ‘যে সব কিছু চেয়েছি, আমি হ্যাঁ বললাম’। আর সেখানেই মিলেছে শুভেচ্ছা। শুধু কি পরিণীতির সতীর্থরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন? রাজনীতি ও বিনোদনের মেলবন্ধন বলে কথা! — হাজির ছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও।
সব মিলিয়ে জমজমাট ছিল বাগদানের আসর। আর সেই আসরেরই সাক্ষী থাকল রাজধানী। প্যাস্টেল থিমে সেজে উঠেছিল বাগদানের আসর। রাঘব-পরিণীতির পছন্দের কথা মাথায় রেখেই বেছে নেওয়া হয় এই থিম। রাঘব-পরিণীতিকে সাজাতে দিল্লি উড়ে এসেছিলেন ফ্যাশান ডিজাইনার মনীশ মালহোত্রা। মনীশের ডিজাইন করা সাদা লেহেঙ্গাতেই নজর কাড়লেন পরিণীতি। অন্যদিকে রাঘবের পোশাকেও ছিল রঙমিলান্তি। প্রিয়াঙ্কাও কিন্তু কম যান না, তিনি পরেছিলেন হলুদ রঙের লেহেঙ্গা। বাগদান শেষে পাপারাৎজিদের মিষ্টিও বিতরণ করেন তাঁরা। লজ্জা রাঙা মুখে পরিণীতি জড়িয়ে ধরেন রাঘবের হাত।
কোথা থেকে প্রেমের শুরুটা এই দুই জনের? লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সে দু’জনে একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন। এর পর দুজনের কেরিয়ার আলাদা হয়ে গেলেও বন্ধুত্ব ফিকে হয়নি। দুজনেই ঘুরতে ভালবাসেন। রয়েছে চরিত্রগত মিলও। আর এত মিলই দুজনকে এনে দিয়েছেন কাছাকাছি। এর আগে যখন সিঙ্গল ছিলেন তখন প্রেম নিয়ে মুখ খুলেছিলেন পরিণীতি। বলেছিলেন, “আমার বিয়ের ইচ্ছে রয়েছে। ইচ্ছে রয়েছে সন্তান ধারণেরও। আমি এমন একটা কেরিয়ার চাই যাতে উত্থান ও পতন দুই-ই থাকবে।” যোগ করেছিলেন, “বহুদিন ধরে অনেকের প্রেম জীবনের সম্পর্কে ওয়াকিবহাল আমি। বিয়ে সব সময়েই পরবর্তী পদক্ষেপ। যেদিন মনের মানুষকে খুঁজে পেয়ে যাব, ভালবাসব। বিয়ে করতে চাইব।” অবশেষে সেই মনের মানুষের হদিশ মিলেছে নায়িকার। এবার বাকি বিয়ে…।