মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত অভিষেককে সামলেছিলেন ঐশ্বর্যা!
সদ্য এক সাক্ষাৎকারে অভিষেক জানিয়েছেন, গত বছর লকডাউনে তিনি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। বিপর্যস্ত অভিষেককে তখন নাকি সামলেছিলেন ঐশ্বর্যাই।
আগামী ২০ এপ্রিল তাঁদের বিবাহবার্ষিকী। তাঁরা অর্থাৎ বলিউড (bollywood) অভিনেতা অভিষেক বচ্চন (Abhishek Bachchan) এবং তাঁর স্ত্রী অভিনেত্রী ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন (Aishwarya Rai Bachchan)। একসঙ্গে থাকার আরও একটা বছর পার। করোনা আতঙ্কের কারণে এই বছর সেলিব্রেশন হয়তো কিছুই হবে না। তবে ঐশ্বর্যার সঙ্গে থাকা মানে প্রত্যেকটা দিনই সেলিব্রেট করার মতো। সদ্য এক সাক্ষাৎকারে স্ত্রীয়ের প্রতি এই কৃতজ্ঞতাই প্রকাশ করলেন অভিষেক।
সদ্য এক সাক্ষাৎকারে অভিষেক জানিয়েছেন, গত বছর লকডাউনে তিনি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। বিপর্যস্ত অভিষেককে তখন নাকি সামলেছিলেন ঐশ্বর্যাই। “লকডাউনে কেউ নতুন রান্না শিখেছে। কেউ শিখেছে নতুন ভাষা। যখন আমি নিজেকে প্রশ্ন করতাম, আমি কী করলাম, আমার কাছে কোনও উত্তর ছিল না। তখন ঐশ্বর্যাই আমাকে বলেছিল, একটা গোটা বছর পরিবারের সঙ্গে থাকার সুযোগ আমি পেয়েছি। পাশাপাশি আমার পরিবারের সকলে সুস্থ রয়েছেন। এটাই তো সবথেকে বড় পাওনা”, শেয়ার করেছেন অভিষেক।
আরও পড়ুন, মেয়ের ছবি শেয়ার করে নতুন খেলা শুরু করলেন পার্লে মানে!
সদ্য ওয়েব স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে অভিষেক অভিনীত ‘দ্য বিগ বুল’। লকডাউনের সময় কাজ না থাকার কারণেও মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেতা। তখন তিনি কী কী জানেন, কতটা পরিশ্রম করে কাজ করেন, সে সব নতুন করে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন ঐশ্বর্যাই। তাঁর মনে সাহস এনে দিয়েছিলেন তিনি। অভিষেক নাকি নতুন করে বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলেন, তিনিও পারেন।
গত বছর জয়া বচ্চন ছাড়া বচ্চন পরিবারের সকলেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। আপাতত সকলেই সুস্থ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। এই পরিস্থিতিতে পরিবারকে নিয়ে সাবধানে থাকার চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন অভিষেক। ভাল থাকতে পারার নেপথ্যে অবশ্যই রয়েছে ঐশ্বর্যার সঙ্গ।