
বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ তাঁর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মন্তব্যের কারণেই খবরের শিরোনামে থাকেন। তবে এবার তিনি তাঁর বিয়ে নিয়ে চর্চিত। রাজ্য রাজনীতি থেকে স্যোশাল মিডিয়ায় নানা ধরণের মন্তব্যে ছেয়ে গিয়েছে। শুক্রবার গোধূলি লগ্নে বৈদিক নিয়মে বিয়ে হল দিলীপ ঘোষ ও তাঁরই দলের এক সদস্যা রিঙ্কু মজুমদারের।
দিলীপ ঘোষের বিয়ে নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে টিভিনাইন বাংলা থেকে বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ”প্রথমেই দিলীপবাবু ও যিনি তাঁর সহধর্মিণীকে শুভেচ্ছা। দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক কাজের মধ্যে ছিলেন, সঙ্ঘের কাজ করে এসেছেন, তারপর সেটা পাল্টে রাজনৈতিক কাজ। পুরোটাই সাধারণ মানুষদের জন্য কাজ করেছেন। এই ধরনের মানুষ বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যস্ত থাকেন, ফলত নিজের দিকটা বা তাঁর পরিবারের দাবি, মা-বাবার দাবি পূরণ সব সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। কিন্তু তারই মধ্যে নিজের সামাজিক সম্পর্কে আবদ্ধ হচ্ছেন, তার জন্য শুভেচ্ছা। আধুনিক সময়ে যে ভাবনা-চিন্তাগুলো চলে এসেছে, সেটা মেনেই দেরি হয়ে গেলেও, দুজন পরিণত বয়সের মানুষ, পরিণত বুদ্ধির মানুষ আবদ্ধ হচ্ছে, খুবই আনন্দের কথা। নতুন উদ্যোমে দিলীপদা, সেই আবারও কাজ করতে নামবে। কারণ, দায়িত্ব তো কমে যাওয়ার নয়। প্রত্যেকে যা লড়াই করছেন, পশ্চিমবঙ্গের বিরোধীদলের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব হিসেবে। কেউ কেউ বলছেন যে, দিলীপবাবু যতটা কড়া ভাষায় আক্রমণ করতেন, যার জন্য তাঁর জনপ্রিয়তা। এবার দিলীপবাবু অন্যরকম অনুরাগী পাবেন, যাঁরা বিশ্বাস করছেন দিলীপবাবু বিয়ের পর দুএকটা মজার কথা বলতে পারেন, জানি না, তাঁদের জন্য রইল অনেক শুভেচ্ছা। এইটুকুই বলব।”
এরপরেই রুদ্রনীল ঘোষের বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করাতে তিনি বলেন, ” এটা খুব মজার প্রশ্ন। এখনও বিয়ে করে উঠতে পারিনি, তবে ভবিষ্যতে হতেও পারে, যদিও আমার ছোট বেলার বন্ধুরা পরমব্রত, রাজ, কাঞ্চন বিয়ে করেছেন, তবে তাঁদের বিয়ে আমাকে অনুপ্রাণিত করতে পারেনি। তবে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তো আমার বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল না, তিনি আমার দলের একজন সম্মানীয় নেতা, তাঁর সঙ্গে আমার মূলত রাজনৈতিক সংগ্রাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পরিবেশ, পরিস্থিতি যে জায়গায় রয়েছে, অধিকাংশ মানুষের জীবন-জীবিকা যে জায়গায় অস্থির হয়ে রয়েছে, যখন সেখানে একটু শান্তি আসবে, সাম্য আসবে। তখন আমি বিয়ে করব। অনেকেই মন দিয়ে সংসার করছেন, মন দিয়ে রাজনীতিও করছেন। সমস্ত রাজনৈতিক দলেই এমন মানুষ রয়েছেন। কিন্তু কেউ কেউ রয়েছেন, এটা ব্যালেন্স করতে পারেন না। লড়াই যখন কঠিন হয়, মানে আন্দোলনের মাঝে যদি বলে যে, বাড়িতে মিষ্টি নেই, চা নেই। একটু আসবার সময় নিয়ে আসবে। এটার সঙ্গে অনেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন না। যেকোনও একটা গুলিয়ে যায়। আমারও একটু গুলিয়ে যায়, এসবে একটু কাঁচা। যাঁদের গুলোয় না, তাঁদেরকে অনেক শুভেচ্ছা। যদি পশ্চিমবঙ্গে সুস্থির পরিবেশে ফিরে আসে, সেই ভালবাসার পরিবেশেই বিয়ের উদ্যোগ নেব। বয়সটা একটা নাম্বার। আর কিছুই নয়, দুটো মানুষ শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত যাতে সম্মানজনক ভাবে একসঙ্গে তাঁদের গভীর বন্ধুত্ব অটুট রাখতে পারে, সেটাই তো বিয়ে। সেক্ষেত্রে বিয়ের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা ও সম্মান রয়েছে। আমার হয়নি তো কী হয়েছে! আমারও নিশ্চয়ই একদিন হবে, ঈশ্বর আছেন!”