‘দ্য় কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) নিয়ে বিতর্ক যেন থামতেই চাইছে না। প্রথমে ছবি বন্ধের ডাক, পরে ছবি নিয়ে কটাক্ষ… রিলিজ়ের পর থেকে এসবকে সঙ্গী করেও এগিয়ে চলেছে বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেনের ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। এবার ‘দ্য কেরালা স্টোরি’কে ‘প্রোপাগান্ডা ছবি’র তকমা দিতে ছাড়লেন না দক্ষিণী সুপারস্টার অভিনেতা কমল হাসান। তাঁর বক্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে ভুললেন না সুদীপ্তও (Sudipta Sen)।
মে মাসের ৫ তারিখ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘দ্য় কেরালা স্টোরি।’ মুক্তির পরই এই ছবিকে প্রোপাগান্ডা ফিল্ম বলে দাগিয়ে দেয় বেশ কিছু রাজনৈতিক দল। এবার এই তালিকায় জুড়ল অভিনেতা কমল হাসানের নামও। আবু ধাবিতে বসেছিল আইফা ২০২৩-এর আসর। সেখানেই কমলের গলায় শোনা গেল কটাক্ষের সুর। তিনি বলেন, “এটি সম্পূর্ণ প্রোপাগান্ডা ছবি। আমি যার বিরুদ্ধে। ছবির শেষে সত্য ঘটনা অবলম্বনে জুড়ে দিলেই শুধু হয় না। গল্পটা আদতেই সত্য হতে হয়।” এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও যোগ করেন, “সত্য ঘটনা শুধু বললেই হয় না। দর্শকের মনকে ছুঁয়ে যেতে হয়। তবেই শিল্পের সঙ্গে সুবিচার হয়। একটা মনো কালচার (Mono Culture) তৈরি হচ্ছে, যা সিনেমা জগতের জন্য মোটেই ভাল বিষয় নয়। এই ধরনের বিষয় থেকে ছবিকে বেরিয়ে আসতে হবে।” বর্ষীয়ান অভিনেতা কমলের এই মন্ত্যবের পাল্টা জবাব দিয়েছেন পরিচালক সুদীপ্ত সেনও।
প্রসঙ্গত, লাগাতার ছবির প্রচারের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সুদীপ্ত। ডি-হাইড্রেশনের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি তিনি। এরই মধ্যে কমলের মন্ত্য়বের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তিনি। সুদীপ্তর কথায়, “আমি এসবে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাই না। আগে আমি বোঝানোর চেষ্টা করতাম। এখন সেটাও ছেড়ে দিয়েছি। আমি নিশ্চিত যাঁরা এই ছবিটিকে ‘প্রোপাগান্ডা ফিল্ম’ বলছেন, তাঁরাই ছবিটি দেখার পর বলবেন ‘বাহ্, খুব সুন্দর’। যাঁরা ছবিটি দেখেননি, তাঁরাই মূলত সমালোচনা করছেন।” এই কারণেই শুধু পশ্চিমবঙ্গ ও তামিলনাড়ুতে ছবিটি মুক্তি পেল না বলে অভিমত সুদীপ্তর। তাঁর কথায়, “ওঁরা এই ছবিটা দেখেনি, তাই-ই ভাবছেন প্রোপাগান্ডা। আমাদের দেশে এখনও কিছু বোকা-বোকা স্টেরিওটাইপ ভাবনা রয়ে গিয়েছে। তাঁদের কাছে জীবন মানেই সাদা নয়, কালো। ধূসর রঙের জীবনও যে হতে পারে, তা মানতে পারেন না তাঁরা।” অন্য দিকে, ছবি বন্ধের বিরোধিতা করেছেন পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ। তবে এই ছবিকে ‘প্রোপাগান্ডা ফিল্ম’ বলেই দাবি করেছেন ‘কেনেডি’-র পরিচালক। কিন্তু ছবি বন্ধের তিনি ঘোর বিরোধী।