Satish Kaushik Daughter: ‘পুনর্জন্ম নিও না, ৯০ বছর পর আবার দেখা হবে বাবা…,’ সতীশের জন্মদিনে খোলাচিঠি মেয়ের

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য মুখোপাধ্য়ায়

Apr 14, 2023 | 1:15 PM

Satish Kaushik: "আমাদের আবার ৯০ বছর পর দেখা হবে বাবা। তার আগে পুনর্জন্ম নিও না।" বংশিকার চিঠি শুনে চোখ মুছতে বাধ্য় হয়েছিলেন সকলেই।

Satish Kaushik Daughter: পুনর্জন্ম নিও না, ৯০ বছর পর আবার দেখা হবে বাবা..., সতীশের জন্মদিনে খোলাচিঠি মেয়ের
"পুনর্জন্ম নিও না, ৯০ বছর পর আমাদের আবার দেখা হবে বাবা" সতীশের জন্মদিনে আবেগঘন চিঠি ১০ বছরের মেয়ের

Follow Us

মৃত্যুর পর এটিই ছিল অভিনেতা সতীশ কৌশিকের (Satish Kaushik) প্রথম জন্মদিন। আর সেই কারণেই তাঁর স্মৃতিচারণায় মুম্বইয়ে হাজির হয়েছিলেন পরিবার ও কাছের বন্ধুরা। বন্ধু অনুপম খের (Anupam Kher), অনিল কাপুর থেকে শাবানা আজমি, রানি মুখোপাধ্যায়সহ  (Rani Mukherjee)উপস্থিত ছিলেন সকলেই। ছিলেন তাঁর ১০ বছরের মেয়ে বংশীকা ও স্ত্রী শশী। বাবার উদ্দেশে আবেগঘন চিঠি লিখে তা পাঠ করে সতীশ কন্যা। “তুমি আমার স্বপ্নে এসো বাবা, তোমায় ছাড়া থাকতে পারব না” বংশিকার চিঠিতে চোখে জল সকলের। প্রয়াত বাবার উদ্দেশে আর কী লিখেছে ছোট্ট মেয়ে বংশীকা?

চলতি বছরের ৯ মার্চ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্য়ু হয় অভিনেতা সতীশ কৌশিকের। সদ্য পিতৃহারা হয়েছে ১০ বছরের মেয়ে। এখনও ভিতরে দগদগে সেই ক্ষত। এরই মাঝে বাবার জন্মদিন। কিন্তু বাবা কাছে নেই। আর ফিরবে না। তারাদের দেশে থাকা বাবাকে তাই জন্মদিনে খোলা চিঠি লিখেই মনের কথা জানাল বংশীকা। চিঠি পড়তে শুরু করে সতীশ কন্য়া, কষ্ট চাপা গলায় বলে  “হ্যালো বাবা, আমি জানি তুমি আর নেই। কিন্তু আমি তোমায় জানাতে চাই আমি তোমার জন্য় সবসময় থাকব। তোমার বন্ধুরা আমায় শক্ত হতে শিখিয়েছে। কিন্তু আমি তো তোমায় ছাড়া থাকতে পারছি না বাবা। আমি তোমায় খুব মিস করি। যদি আমি জানতাম তুমি এভাবে আমাদের ছেড়ে চলে যাবে, তাহলে আমি স্কুলেই যেতাম না। তোমার সঙ্গে বেশি করে সময় কাটাতাম। যদি একটা বার তোমায় জড়াতে পারতাম বাবা। সিনেমার মতো যদি হত, মিরাকল  হয়ে তুমি ফিরে আসতে তাহলে যে কী ভাল হত।” বংশীকার চিঠির প্রত্যেকটি লাইনে স্পষ্ট পিতৃবিয়োগের যন্ত্রণা।

সতীশকন্য়া চিঠিতে আরও লেখে,”এখন আমায় মায়ের হাত থেকে কে বাঁচাবে? মায়ের বকা খাওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়ে কে আমায় অঙ্ক করে দেব? মন খারাপ হলে কে আমায় রেস্টরেন্টে খেতে নিয়ে যাবে বাবা?” বংশীকার চিঠির একটা লাইন আরও ভারী করে দিয়েছে উপস্থিত সকলের চোখ, “তুমি রোজ আমার স্বপ্নে এসো বাবা।” বয়স সবে ১০। জগৎটাকে দু’চোখ মেলে এখনও ভাল করে দেখারই সুযোগ হয়নি। তার আগেই মাথার উপর থেকে ছাদ সরে যাওয়ার যন্ত্রণা যে কতটা অসহ্য়নীয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। চিঠি পড়তে গিয়ে সে বলে, “আমি তোমার জন্য পুজো করেছি। ভগবানের কাছে প্রার্থণা করেছি তুমি যাতে স্বর্গে খুব ভাল থাকো। সেখানে তোমার একটা প্রাসাদ থাকুক। ফেরারি, রোলস রয়াস ও একটা ল্যাম্বরগিনি থাকুক। খুব ভাল ভাল খাবার খাও। আমাদের আবার ৯০ বছর পর দেখা হবে বাবা। তার আগে পুনর্জন্ম নিও না।” বংশিকার চিঠি শুনে চোখ মুছতে বাধ্য় হয়েছিলেন সকলেই। বাবার বন্ধু ‘অনুপম আঙ্কেল’ তাকে কথা দিয়েছে, রোজ সন্ধ্যায় ফোন করে তার সঙ্গে গল্প করার। সম্প্রতি ANI-কে অনুপম খের জানান, কিছুদিন আগে  সতীশ তাঁর স্বপ্নে এসে বলে, “ইয়ার তুই আমার জন্য কিচ্ছু করবি না?” তারপরই সতীশের জন্মদিনটা এভাবে উদযাপন করার কথা স্থির করে ফেলেন অভিনেতা।

Next Article