অপরাজিতা আঢ্যকে কাদায় ফেলে লাথি মারল পাড়ার ছেলেরা! কেন?
অপরাজিতার এমন কথা থেকেই শুরু হয় পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে বচসা। আর সেই বচসাই পরে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। মারপিট বাড়তে থাকলে, আচমকাই অপরাজিতাকে কাদায় ফেলে লাথি মারতে শুরু করে পাড়ার ছেলেরা।

ব্যাপারটা যে এমন ঘটবে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। বৃষ্টি সবে থেমেছে তখন, পাড়ার ছেলেদের কথা না মানতেই, আচমকা কাদায় ফেলে অপরাজিতাকে একের পর এক লাথি মারা শুরু করল তাঁরা। ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন অভিনেত্রী। নিরুপায় হয়ে পড়েই ছিলেন কাদায়। সারা শরীর জুড়ে কাদা মাখামাখি। তবুও প্রতিবাদ করতে ছাড়েননি অপরাজিতা। নাহ, কোনও সিনেমার দৃশ্য নয়, নতুন কোনও সিরিয়ালও নয়। বরং এ ঘটনা একশো শতাংশ সত্য।
কয়েকবছর আগে এক বেসরকারি চ্যানেলে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় এমনই এক ঘটনার কথা উল্লেখ করেন টলিউডের অপাদি। অপরাজিতা আঢ্য ছোটবেলা থেকেই ছিলেন ডানপিটে। ছিলেন মারকুটেও। তাঁর কীর্তিতে তটস্থ হয়ে থাকত পাড়ার লোক। বন্ধুত্বের সঙ্গে মিলে তাঁর নানান কাণ্ড আজও আড্ডায় উঠে আসে। তেমনই এক ডানপিটে গল্প উঠে আসে শাশ্বতর সঙ্গে সেই আলাপচারিতায়।
ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন? কেনই বা অপরাজিতাকে লাথি মেরেছিল পাড়ার ছেলেরা?
ছোটবেলা থেকেই অপরাজিতার নাচের প্রতি টান। তাই তো ১৩ বছর বয়সেই পাড়ার এক নাচের স্কুলে নাচ শেখাতেন তিনি। ঠিক সেই সময়ই নিজের নাচের দলকে নিয়ে পাড়ার এক অনুষ্ঠানে নৃত্যনাট্য করার প্ল্যান করেন অপরাজিতা। শুরু হয় নাচের মহড়াও। সেই অনুষ্ঠানেই পাড়ার ছেলেরা প্ল্যান করেছিল নাটক করার। কিন্তু অনুষ্ঠানের দিনই মহাবিপদ। সারাদিন ধরে তুমুল বৃষ্টি। বৃষ্টি যখন থামল, তখন রাত ৮ টা। ঠিক হয়, এত রাতে পুরো অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়। পাড়ার ছেলেরা দুম করে ঠিক করে ফেলল, মেয়েদের নৃত্যনাট্য বাদ, ছেলেদের নাটকটিই হবে। ব্যস, এমন কথা শুনেই অপরাজিতা প্রতিবাদ শুরু করেন। সবাইকে জানিয়ে দেন, বাতিল হলে ছেলেদের নাটকই বাদ পড়ুক, মেয়েদের নৃত্যনাট্যই হবে। অপরাজিতার এমন কথা থেকেই শুরু হয় পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে বচসা। আর সেই বচসাই পরে হাতাহাতির রূপ নেয়। মারপিট বাড়তে থাকলে, আচমকাই অপরাজিতাকে কাদায় ফেলে লাথি মারতে শুরু করে পাড়ার ছেলেরা।
অপরাজিতার জানান, এই ঘটনার পরেই মনে মনে একটা প্রতিজ্ঞা নিয়েছিলাম। আমার এই নাচের দল একদিন এত নাম করবে, এত বড় হব আমি যে, এই পাড়ার ছেলেরাই লজ্জা পাবে একদিন। ভগবানের কৃপায় কিন্তু সেটাই হয়েছে। আমার নাচের দল কিন্তু খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এটা আমার কাছে খুব বড় প্রাপ্তি।
