AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

মণীষার ধিক্কার! ক্যানসার হতেই বুঝলেন বন্ধুরা মুখোশ পরে তাঁকে স্রেফ ব্যবহারই করেছে

Manisha Koirala: সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে পরিচালক সঞ্জয় লীলা ভনসালী পরিচালিত প্রথম ওয়েব সিরিজ় 'হীরামাণ্ডি'। সেখানে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন মণীষা। ওয়েব সিরিজ়কে কেন্দ্র করে নানা জায়গায় নানা সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মণীষা। প্রায় প্রত্যেক সাক্ষাৎকারেই উঠে এসেছে তাঁর ক্যানসার জয়ের কাহিনি।

মণীষার ধিক্কার! ক্যানসার হতেই বুঝলেন বন্ধুরা মুখোশ পরে তাঁকে স্রেফ ব্যবহারই করেছে
মণীষা কৈরালা।
Follow Us:
| Updated on: May 14, 2024 | 2:08 PM

মণীষা কৈরালা। ৯০ দশকের অন্যতম সুন্দরী বলিউড অভিনেত্রী। ‘দিল সে’, ‘বোম্বে’র মতো ছবিতে তাঁর পারফরম্যান্স অনবদ্য। মণীষার ব্যক্তিগত জীবন ছিল বেশ রঙিন। শোনা যায়, তাঁর নাকি ১২ জন প্রেমিকও ছিল। তবে মণীষার জীবনে একটা কালো অধ্যায়ও রয়েছে। রাজ পরিবারের মেয়ে মণীষা ক্যানসার রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন ২০১২ সালে। সেই সময়টা তাঁর জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়। কেবল ক্যানসার হয়েছে বলে নয়। খারাপ সময়ে তিনি পাশে পাননি কাউকেই। সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে পরিচালক সঞ্জয় লীলা ভনসালী পরিচালিত প্রথম ওয়েব সিরিজ় ‘হীরামাণ্ডি’। সেখানে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন মণীষা। ওয়েব সিরিজ়কে কেন্দ্র করে নানা জায়গায় নানা সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মণীষা। প্রায় প্রত্যেক সাক্ষাৎকারেই উঠে এসেছে তাঁর ক্যানসার জয়ের কাহিনি।

ক্যানসারের কথা বলতে গিয়েই জীবনের সবচেয়ে বড় লড়াইয়ের কথা বলেছেন মণীষা। জানিয়েছেন, সেই সময় তাঁর কাছের বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজনেরা কেউই পাশে ছিলেন না। মণীষা বলেছেন, “আমার কৈরালা পরিবার বিরাট বড়। কিন্তু যখন আমার ক্যানসার ধরা পড়ল, তাঁরা প্রত্যেকে পাশ থেকে সরে গেলেন। এই যুদ্ধটা আমি একাই লড়েছি। একাই জয় করেছি।” কাছের বলতে মণীষার পাশে ছিল পরিবার–বাবা, মা, ভাই এবং ভাইয়ের স্ত্রী। এর বাইরে আর কেউ এসে একবারের জন্যও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি মণীষার দিকে।

অভিনেত্রী বলেছেন, “অনেকেই হয়তো ভেবেছিলেন, আমি আর্থিক সাহায্য চাইব। কিন্তু তা আমি চাইনি। আর্থিকভাবে স্বচ্ছল একজন মানুষ আমি। নিজের চিকিৎসার খরচ নিজেই চালাতে পেরেছিলাম। কিন্তু সেই সময় আমার কাছ থেকে বন্ধু-বান্ধবরা সরে গিয়েছিলেন। এটা যে কত বড় যন্ত্রণার, তা আমি নিজের মুখে ব্যক্ত করতে পারব না।”