অদিতি ও দেবরাজের দুর্দান্ত দাম্পত্য: আলাদা হয়েও কীভাবে হল বিয়ে?
দেবরাজ থাকতেন জ্যাংরা এলাকায়। ওদিকে অদিতির বাড়ি বাগুইহাটি। দু'জনের পেশাই ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। জানা যায়, প্রেম ছিল না দু'জনের। দুই পেশাতে দু'জনেই ছিলেন প্রতিষ্ঠিত। নির্ধারিত বয়সে এসে দু'জনের বাড়ি থেকেই চলছিল দেখাশোনা।

প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের সক্রিয় সিবিআই। নির্বাচন পর্বের মধ্যেই এবার ডাক পড়ল যুব তৃণমূলের দাপুটে নেতার। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূল যুব সভাপতি দেবরাজ চক্রবর্তীকে ডেকে পাঠানো হয়েছে সিবিআইয়ের অফিসে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেলেই নোটিস পাঠানো হয়েছে যুব তৃণমূলের নেতার কাছে। এ তো গেল বিতর্কের কাহন। দেবরাজের স্ত্রী অদিতি মুন্সীকে কে না চেনেন? তাঁর মিষ্টি হাসি, ভুবন ভোলানো কণ্ঠস্বরের ভক্ত নেহাত কম নয়। এ হেন অদিতি ও দেবরাজের প্রেম হল কী করে? এই প্রশ্ন নেটপাড়ায় চলতেই থাকে। এই প্রতিবেদনে জেনে নিন সেই অজানা কাহিনী।
দেবরাজ থাকতেন জ্যাংরা এলাকায়। ওদিকে অদিতির বাড়ি বাগুইহাটি। দু’জনের পেশাই ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। জানা যায়, প্রেম ছিল না দু’জনের। দুই পেশাতে দু’জনেই ছিলেন প্রতিষ্ঠিত। নির্ধারিত বয়সে এসে দু’জনের বাড়ি থেকেই চলছিল দেখাশোনা। ব্যস প্রস্তাব যায় অদিতির বাড়ি, দেবরাজের বাড়ির তরফে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ২০১৮ সালে বিয়ে করেন তাঁরা। যুব তৃণমূল নেতা হিসেবে কেরিয়ার শুরু হয় দেবরাজের পরে রাজারহাট-গোপালপুরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দুর আপ্তসহায়ক হিসাবেও কাজ করেছিলেন তিনি। ২০১৩-র পুরনির্বাচনে টিকিট চেয়েছিলেন দেবরাজ, কিন্তু না, তিনি পাননি। ২০১৫তে ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় অভিমানে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন দেবরাজ। টিকিট পান, লড়েন এবং জয়ীও হন। তবে কিছু দিন যেতে না যেতেই কংগ্রেস ছেড়ে ফের ফিরে আসেন তৃণমূলে।
অন্যদিকে অদিতি কিন্তু রাজনীতির সঙ্গে একেবারেই যুক্ত ছিলেন না। বিয়ের পরে দেবরাজের হাত ধরেই তাঁর এই ময়দানে নামা। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে রাজারহাট-গোপালপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন অদিতি। এই মুহূর্তে তিনি ওই কেন্দ্রের বিধায়ক। লোকে বলে, এ আদপে দেবরাজেরই মাস্টারপ্ল্যান। স্ত্রীকে দাঁড় করিয়ে নেপথ্যের কান্ডারি ছিলেন তিনিই। সে যাই হোক, পেশাগত, পরিবারগত দিক দিয়ে তাঁদের আপাত অমিল থাকলেও মনের মিল রয়েছে ষোলোআনা। কেটেছে ৬টা বছর। দিব্যি গুছিয়ে সংসার করছেন অদিতি ও দেবরাজ।





