সাত বছরের দাম্পত্যে চিড় ধরেছে। বিচ্ছেদের মামলা চলছে কিম কার্দাশিয়ান এবং কেনি ওয়েস্টের। কিন্তু এরই মধ্যে আগামী ডেটের কথা প্রকাশ্যে আনলেন কেনি। খুল্লামখুল্লা জানালেন আগামী দিনে কেমন পার্টনার পছন্দ তাঁর?
হলিউডের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম থেকে পাওয়া সূত্র অনুযায়ী, কিম এমনই একজন মানুষকে ডেট করতে চান যিনি একাধারে শিল্পী এবং সৃজনশীল। কেনি নিজেও শিল্পী, তাই দুজনের মধ্যে যাতে মতের মিল হয়ে সে কারণেই এমন পছন্দ তাঁর। অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে কিম এখনই আগামী নিয়ে কিছু ভাবতে চাইছেন না। সন্তানদের দেখভাল করাই এখন তাঁর কাছে বেশি জরুরি। তবে সূত্র বলছে, আগামী দিনে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতেও অংশ নিতে পারেন কিম।
আরও পড়ুন- দিতিপ্রিয়ার সঙ্গে এক ছবিতে খরাজ, পরিচালনায় পাভেল
এর আগে এ বছরের জানুয়ারিতেই কিম-কেনির বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আসে। প্রাথমিক ভাবে বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, র্যাপার স্বামী কেনির সঙ্গে ঘনঘন মতের অমিল হচ্ছিল মার্কিনী তারকা কিম কার্দাশিয়ানের। কোনওভাবেই সমস্যার সমাধান হচ্ছিল না। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছিল মতবিরোধ। আর তাই তৃতীয়বারের জন্য ডিভোর্সের মামলা করেছেন কিম কার্দাশিয়ান। কিম-কেনির ডিভোর্স পেপারে বিচ্ছেদের কারণ স্বরূপ লেখা হয়েছিল ‘Irreconcilable differences’।
বিয়ের আগে থেকেই কিমের খুব ভাল বন্ধু ছিলেন কেনি। রাজকীয় ভাবে কিমকে বিয়ের প্রস্তাবও দেন কেনি। বিয়ের আগেই ২০১৩ সালে প্রথম কন্যাসন্তান নর্থের জন্ম দেন কিম কার্দাশিয়ান। এর ঠিক পরের বছর ২০১৪ সালে ইতালিতে বিয়ে সারেন কিম এবং কেনি। সেই বছরই দ্বিতীয়বার সন্তান (ছেলে) সেন্টের জন্ম দেন কিম। এছাড়াও শিকাগো এবং পাম (Psalm) নামের আরও দুই সন্তান রয়েছে এই তারকা জুটির।
সুখেই চলছিল সংসার। কিন্তু কয়েকবছর আগেই তাল কাটতে শুরু করে। ২০১৮ সালে সংবাদমাধ্যমের সামনে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন কেনি। তিনি বলেছিলেন, ‘দাসত্ব একপ্রকার পছন্দের বিষয়’। কেনির এই মন্তব্যের পর থেকেই কিমের সঙ্গে তাঁর বৈবাহিক সম্পর্ক প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়েছিল। সে সময় শোনা গিয়েছিল, খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন কিম এবং কেনি।
এখানেই থামেননি কেনি। এরপর গতবছর জুলাই মাসে ফের বোমা ফাটান বিশ্ববিখ্যাত এই র্যাপার। মিডিয়ার সামনেই বলে বসেন নিজেদের ব্যক্তিগত কথা। কেনি বলছিলেন, নর্থের (তারকা দম্পতি প্রথম কন্যাসন্তান) জন্মের আগে তিনি এবং কিম গর্ভপাতের ব্যাপারে আলোচনা করেছিলেন। কেনি এতটা ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করতে পারেন এটা ভেবেই চমকে গিয়েছিলেন কিম কার্দাশিয়ান। তখন থেকেই সম্পর্কের টানপোড়েন আরও বেড়ে যায় এবং ক্রমে বিচ্ছেদের দিকে এগতে থাকে। যদিও তিক্ততাকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাইছেন না কেউই। জীবন কাটাতে চাইছেন নিজেদের শর্তে।