‘খাদান’ ঝড়ে ব্যস্ত এখন টলিপাড়ার স্টান্টম্যান থেকে ভিলেন
বাংলা মশালা ছবির গান, নাচ থেকে দুরন্ত অ্যাকশন সিকোয়েন্স দর্শকদের যেমন হলমুখী করেছে তেমনই সামগ্রিকভাবে কলাকুশলীদের উৎসাহ যুগিয়েছে। খাদান-এর পরই 'রঘু ডাকাত' নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে অভিনেতা দেব। পাশাপাশি 'রক্তবীজ ২'-এর কাজ চলছে পুরোদমে।

বাংলা ছবির মার্কেট ধরতে নানা ধরনের এক্সপেরিমেন্ট করছেন প্রযোজক-পরিচালকেরা। দর্শকদের মন পেতে একটা সময় মশালা ছবি থেকে সরে এসে পারিবারিক গল্পের ডালি সাজিয়েছিলেন তাঁরা। তাতে অবশ্যই শহুরে দর্শকদের ভালবাসা পেয়েছে বাংলা ছবি। তবে শহর থেকে শহরতলি ছাড়িয়ে গ্রামের দর্শকদের মন থেকে কিছুটা হলেও সরে এসেছে বাংলা ছবির ব্যবসা। পারিবারিক ছবির বাড়বাড়ন্তে ফাইট মাস্টার থেকে তথাকথিত ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করতেন যাঁরা, তাঁদের রুজি-রোজগারে টান পড়েছিল। তবে ‘খাদান’, ‘বহুরূপী’, ‘রক্তবীজ’, ‘মির্জা’-এর বক্স অফিস সাফল্যে আবার মশালা ছবির ফিরে আসছে। এতেই আশায় বুক বাঁধছেন ইন্ডাস্ট্রির ফাইটার স্টান্টম্যান থেকে ভিলেনের চরিত্রের অভিনেতারা।
এই নিয়ে অবশ্যই আশাবাদী ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করেন যাঁরা, তাঁরা সকলেই। ফাইটমাস্টাররাও আশার আলো দেখছেন এই বিষয় নিয়ে। ‘খাদান’, ‘বহুরূপী’র বক্স অফিস সাফল্য নতুন করে আশার আলো দেখেছেন ইন্ডাস্ট্রির কলাকুশলীরা।
বাংলা মশালা ছবির গান, নাচ থেকে দুরন্ত অ্যাকশন সিকোয়েন্স দর্শকদের যেমন হলমুখী করেছে, তেমনই সামগ্রিকভাবে কলাকুশলীদের উৎসাহ জুগিয়েছে। ‘খাদান’-এর পরই ‘রঘু ডাকাত’ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন অভিনেতা দেব। পাশাপাশি ‘রক্তবীজ ২’-এর কাজ চলছে পুরোদমে।
প্রসঙ্গত, এই সব ছবিগুলি মূলত অ্যাকশন ছবি। তাই খুশি টলিপাড়ার অ্যাকশন মাস্টার থেকে স্টান্টম্যান ও তথাকথিত ভিলেনের চরিত্রের অভিনেতারা। অভিনেতা সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়ের মতে, এই মুহূর্তে তিনি ব্যস্ত বেশ কিছু ছবির কাজ নিয়ে। ‘খাদান’-এর সাফল্যের কারণেই তিনি আবারও কাজ পাচ্ছেন বলে জানালেন। অভিনেতা প্রযোজক অঙ্কুশ জানিয়েছেন, মির্জা-র শ্যুট-এর সময়ে পুরোনো স্টান্টম্যানদের সঙ্গে দেখা হওয়ায়, তাঁরা বেজায় খুশি হয়েছিল। আসলে অ্যাকশন ছবি হলে সামগ্রিকভাবে টলিপাড়ার সকলের উন্নতি হয়।
সম্প্রতি ‘খাদান’-এর একশো দিনের সাফল্য উদযাপন করতে এসে দেব বললেন, “এখন এত অ্যাকশন ছবি তৈরি শুরু হয়েছে, যে আমাদের ‘রঘু ডাকাত’-এর শ্যুট-এর জন্য স্টান্টম্যান, ফাইটার কম পড়ছে। তবে এটা আশার কথা সকলের জন্য।”





